ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: লোধা, শবরদের (Lodha and Sabar Tribes) মতো জঙ্গলমহলের আদিবাসী পরিবারের মন পেতে নতুন নির্দেশিকা জারি করল কেন্দ্র। রেশনে বিশেষ সুযোগের কথা বলে সেই নির্দেশিকায় খাদ্যমন্ত্রক জানিয়েছে রাজ্যের খাদ্যসুরক্ষা যোজনা প্রকল্পের আওতায় আছেন লোধা, শবরদের মতো কোনও পরিবার চাইলে কেন্দ্রীয় রেশন প্রকল্পের আওতায় আসতে পারেন।
এই নির্দেশিকা ঘিরে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে। পরের বছর পঞ্চায়েত নির্বাচন। স্বাভাবিকভাবেই রাজ্যের গ্রামে মানুষের মন পেতে মরিয়া বিজেপি (BJP)। এই পরিস্থিতিতে লোধা, শবরদের মতো আদিবাসী পরিবারের সমর্থন পেতে তারা সরকারি নির্দেশিকা জারি করছে বলে অভিযোগ তুলেছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল।
এমনকী, প্রশাসনিক মহলেও এই নির্দেশিকা নিয়ে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া শুরু হয়েছে। শুধু জঙ্গলমহলের আদিবাসী নয়, বিশেষভাবে সক্ষম, রূপান্তরকামী এবং পিছিয়ে পড়া নানা প্রজাতির মানুষের জন্যও এই সুযোগ দিচ্ছে কেন্দ্র। কারা এই সুযোগ পাবেন তা নির্ধারণ করতে বলা হয়েছে আধিকারিকদেরই। আগামী ২৮ এপ্রিলের মধ্যে এই তালিকা দিতে বলা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: খাস কলকাতায় অটো থেকে উদ্ধার ১৯টি তাজা বোমা, আগ্নেয়াস্ত্র ও বুলেট, ছড়াল চাঞ্চল্য]
এই মুহূর্তে রাজ্য খাদ্যসুরক্ষা যোজনায় দু’টি প্রকল্প রয়েছে। প্রথম প্রকল্পে মাথাপিছু দুই কেজি চাল ও তিন কেজি গম দেওয়া হয়। দ্বিতীয় প্রকল্পে গম ও চাল মেলে মাথাপিছু এক কেজি করে। অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় প্রকল্প অন্ত্যোদয় অন্ন যোজনায় প্রতি মাসে পরিবার পিছু ১৫ কেজি চাল ও ২০ কেজি আটা দেওয়া হয়। আবার পিএইচএইচ প্রকল্পে তিন কেজি আটা ও দু’কেজি চাল মেলে প্রতি মাসে।
কেন্দ্রীয় এই প্রকল্পে এই মুহূর্তে রাজ্যের বাসিন্দাদের মধ্যে সাড়ে ছ’কোটির উপর গ্রাহক রয়েছেন। বাকি সাড়ে চার কোটি গ্রাহকদের দায়িত্ব নেয় রাজ্য খাদ্য দপ্তর। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের আওতার সুযোগ পেলে তা নিয়ে ধন্দ তৈরি হবে। প্রশাসনিক মহলের বক্তব্য, অনেকেই সেই প্রকল্পের সুযোগ নিতে চাইতেও পারে। একই সঙ্গে এই প্রকল্পকে সামনে রেখে বিজেপি নানা প্রচার করে জঙ্গলমহল-সহ বিভিন্ন এলাকার পিছিয়ে পড়া পরিবারের মানুষকে ভুল বোঝাতে পারে বলে আশঙ্কা তৃণমূল (TMC) শিবিরে।