দীপঙ্কর মণ্ডল: কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয়ভাবে অনলাইনে ভরতির পরিকল্পনা স্থগিত। উপাচার্যদের সঙ্গে বৈঠকের পর জানালেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তবে এবছর কোন পদ্ধতিতে ভরতি হবে, তা এখনও জানা যায়নি।
চলতি শিক্ষাবর্ষে রাজ্যের পড়ুয়াদের বিএ, বিএসসি, বিকমে ভরতি নেওয়া হবে কেন্দ্রীয়ভাবে অনলাইন প্রক্রিয়ায়। এই কাজে উচ্চশিক্ষা দপ্তর একটি নতুন পোর্টাল তৈরি করবে। বাড়ি থেকে অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন ছাত্রছাত্রী বা তাঁদের অভিভাবকরা। তিনদিন আগেও কার্যত একথাই জানিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। মঙ্গলবার এবিষয়ে উপাচার্যদের সঙ্গে বৈঠক করেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)। এরপরই সিদ্ধান্ত বদল।
উচ্চশিক্ষা দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয়ভাবে অনলাইনে ভরতির জন্য যা পরিকাঠামো প্রয়োজন তা তৈরি করা এখনও সম্ভব হয়নি। ফলে এবছর এই প্রক্রিয়ায় ভরতি নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এ বিষয়ে ব্রাত্য বসু বলেন, “আমরা আলোচনা করে দেখলাম নতুন পদ্ধতিতে সড়গড় হতে ৫ থেকে ৬ মাস সময় লাগবে। তাই এবার করা সম্ভব হচ্ছে না।” তবে আগামী বছর থেকে নতুন পদ্ধতিতেই ভরতি হবে।
[আরও পড়ুন: ‘তিস্তা, জুবেইরকে গ্রেপ্তার কেন?’ আসানসোলের কর্মিসভা থেকে বিজেপিকে তোপ মমতার]
চলতি বছরে ‘কমন ইউনিভার্সিটি এন্ট্রান্স টেস্ট’ চালু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ভরতিতে গোটা দেশের জন্য চালু হয়েছে এই অভিন্ন প্রবেশিকা পরীক্ষা। গত এপ্রিল মাসে এ রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির জন্য স্নাতকে ভরতিতে কেন্দ্রীয় অনলাইন প্রক্রিয়া চালু নিয়ে আলোচনা হয়। প্রস্তাব যায় নবান্নে। সবতরফে সবুজ সংকেত মেলার পর এই পদ্ধতিতে ভরতি হবে বলে জানিয়েছিলেন খোদ শিক্ষামন্ত্রীই। অর্থাৎ রাজ্যের প্রায় ৫৫০ টি ডিগ্রি কলেজের জন্য প্রকাশিত হত একটাই মেধা তালিকা। ভরতিকে কেন্দ্র করে দুর্নীতি পুরোপুরি বন্ধ করতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল উচ্চশিক্ষা দপ্তর। প্রসঙ্গত, গত সাত বছর ধরে বিএ, বিএসসি, বিকম অনার্স বা জেনারেলের ভরতি চলছে অনলাইন প্রক্রিয়ায়।