রঞ্জন মহাপাত্র, দিঘা: ঘূর্ণিঝড় ‘যশে’ (Cyclone Yaas) বিধ্বস্ত পূর্ব মেদিনীপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা। মঙ্গলবার সেই সমস্ত এলাকা ঘুরে দেখলেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। কথা বললেন স্থানীয়দের সঙ্গে। শুনলেন তাঁদের আকুল আর্তি। সাক্ষী থাকলেন তাঁদের বিক্ষোভেরও। সঙ্গে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা জানিয়ে দিলেন, ঝড়জলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এই জেলা।
ঘূর্নিঝড়ে ঘরহারা দুর্গতরা এখনও ত্রাণ শিবিরে আছেন। তাদের বেশিরভাগের মাটির বাড়ি ধূলিসাৎ হয়েছে। প্রশাসনিক আধিকারিকদের দেখে ঠিকানা ফিরে পাওয়ার কাতর আরজি করেন দুর্গতরা। সমুদ্র বাঁধ তৈরির দাবি জানান স্থানীয়রা। বলেন, “আমাদের থাকার জন্যে ঘরের ব্যবস্থা করুন। সব ভেসে গিয়েছে, আমরা থাকব কোথায়? যেভাবেই হোক থাকার জন্যে একটা ঘর চাই।” মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সামনে প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভ দেখালেন রামনগর ২ ব্লকের দাদনপাত্রবাড় এলাকার বাসিন্দারা।
[আরও পড়ুন: ৮ হাজার পরিযায়ীর কর্মসংস্থান করছে জেলা পরিষদ, পুরুলিয়ায় মানবিক উদ্যোগ]
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের প্রধান এসকে সাহি জানান, “অনেকেই চোখের জল ফেলেছেন। আমরা কয়েকজনের সঙ্গে কথাও বলেছি। দু’দিনে বেশি জায়গা দেখা সম্ভব নয়। তবে সোমবার আর মঙ্গলবার এই দু’দিনে যা দেখলাম তাতে এখানেই (পূর্ব মেদিনীপুরে) বেশি ক্ষতি হয়েছে।” তবে ক্ষতির পরিমাণ জানতে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “এখনি সেই হিসেব বলা সম্ভব হয়।” রাজ্য সরকারের সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “বুধবার রাজ্যের সঙ্গে বৈঠক আছে। রাজ্য সরকার ক্ষয়ক্ষতির হিসেব দেবেন সেখানেই। তারপরে কলকাতার কয়েকটি জায়গা পরিদর্শনের ব্যবস্থা করেছে রাজ্য সরকার সেখানে যাওয়া হবে।”
এদিন সকালে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের যুগ্ম সচিব এসকে সাহির নেতৃত্বে ৭ জনের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল দিঘায় এসে পৌঁছয়। একটি দল হেলিকপ্টারে করে দিঘায় আসে। অপরদলটি গাড়িতে করে দিঘায় পৌঁছয়। দুটি দলের সদস্যরা প্রথমে দিঘা শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদের অফিসে বৈঠকে বসেন। বৈঠক শেষে একদল যায় রামনগর ২ ব্লকের দাদনপাত্রবাড় এবং অপরটি যায় শংকরপুর, চাঁদপুর এলাকা পরিদর্শনে।