সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সাধারণতন্ত্র দিবসের (Republic Day) বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান দেখার সুযোগ হয় না যেসব মানুষের, এবার তাদের জন্য কুচকাওয়াজ দেখার বিশেষ ব্যবস্থা করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, সেন্ট্রাল ভিস্তা (Central Vista), কর্তব্য পথ তৈরিতে যে সমস্ত শ্রমিকরা কাজ করেছেন, তাঁদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। সেই সঙ্গে সবজি বিক্রেতা, রিকশা চালকরাও সাধারণতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে অতিথি হিসাবে থাকবেন। সব মিলিয়ে এক হাজার মানুষ এই অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির সম্মান পাবেন। প্রসঙ্গত, গত বছরের সাধারণতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানেও আর্থিক ভাবে পিছিয়ে থাকা জনতাকে বিশেষ আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। সেই তালিকায় ছিলেন অটোচালক, সাফাইকর্মীরা।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জানা গিয়েছে, কর্তব্য পথ (Kartavya Path) তৈরির ক্ষেত্রে যাঁরা কাজ করেছেন, সাধারণতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে তাঁদের বিশেষ আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। সব মিলিয়ে মোট ১ হাজার মানুষকে অনুষ্ঠান দেখার সুযোগ করে দেওয়া হবে। সাধারণত এই বিশেষ দিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারেন না শ্রমিকরা। সেই জন্যই বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও তফসিলি জাতি, দিব্যাঙ্গদের মধ্যে থেকেও বহু মানুষকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তবে কোভিড বিধি মেনে দর্শকের সংখ্যা অনেক কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। শুধুমাত্র ভ্যাকসিন নেওয়া থাকলেই এই অনুষ্ঠানে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে।
[আরও পড়ুন: ‘বিচারপতিদের তো আর ভোটে লড়তে হয় না’, কলেজিয়াম বিতর্কের মাঝেই ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য রিজিজুর]
৭৪তম সাধারণতন্ত্র দিবসের উদযাপন পর্ব চলবে সাতদিন ধরে।প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, ২৩ জানুয়ারি থেকে ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে সাধারণতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠান। নেতাজির জন্মদিনে শুরু হয়ে গান্ধিজীর মৃত্যুদিনে শেষ হবে এই অনুষ্ঠান। এবার সাধারণতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে বাংলার থিম নারীর ক্ষমতায়ন। রাজ্যের দুর্গাপুজো ইউনেস্কোর হেরিটেজ তকমা পাওয়ার বিষয়টি মাথায় রেখে সপরিবারে মা দুর্গা-কে নারী শক্তির প্রতীক হিসেবে তুলে ধরতে চলেছে বাংলা। সাধারণতন্ত্র দিবসের পরে বাংলার ট্যাবলো অংশ নেবে লালকেল্লার ভারতপর্ব অনুষ্ঠানে।
চলতি বছরের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাট্টা আল সিসিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। জানা গিয়েছে, মিশর থেকে ১২০ জনের প্রতিনিধিদল অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারেন। সাধারণতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে নেতাজির ১২৬তম জন্মদিবস উপলক্ষে শ্রদ্ধা জানানো হবে আজাদ হিন্দ ফৌজের সেনাকে। অন্যদিকে, অনুষ্ঠানের আগে নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা দিল্লি। সীমান্তে এলাকায় কড়া নজরদারি চালাচ্ছে দিল্লি পুলিশ।