সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বায়ুদূষণ নিয়ে যত কথা হয়, শব্দদূষণ নিয়ে তত হয় না। কেবল উৎসবের মরশুমে প্রশাসনের মনে পড়ে ৬৫ ডেসিবেলের কথা। অথচ এদেশের শহর থেকে শহরতলি নারকীয় শব্দদূষণের শিকার। যা নিত্যদিনের ঘটনা। নেপথ্যে লক্ষ লক্ষ যানবাহানের হর্ন। প্রয়োজন হোক বা না হোক হর্ন বাজিয়ে পথচারীর কানের পর্দার পরীক্ষা নেবেনই চালক! এই অবস্থায় আশার কথা শোনালেন কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক মন্ত্রী নীতীন গড়কড়ি (Nitin Gadkari)। জানালেন, এবার থেকে ভিআইপিদের গাড়িতে আর বাজবে না সাইরেন। বদলে শোনা যাবে বাঁশি, তবলা কিংবা শাঁখের সুরেলা শব্দ।
শনিবার পুনেতে (Pune) চাঁদনি চক ফ্লাইওভারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। সেখানেই তিনি জানান, ভিআইপি সংস্কৃতির অবসান ঘটানোর পাশাপাশি সাধারণ মানুষকে শব্দ দূষণের সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে চান তিনি। এই কারণেই সাধারণ হর্নের বদলে ভারতীয় বাদ্যযন্ত্রের স্বস্তিদায়ক শব্দ চালু করতে আগ্রহী কেন্দ্র। এদিন নিজের বক্তব্যে গড়করি জানান, শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণ জরুরি। বলেন, “আমি ভাগ্যবান যে ভিআইপির গাড়িতে লাল বাতি লাগানো বন্ধ করতে পেরেছি। এবার ভিআইপি গাড়ির সাইরেন বন্ধ করার পরিকল্পনা করেছি।” এর পরেই জানান, হর্ন এবং সাইরেনের শব্দের বদলে বাজবে বাঁশি, তবলা কিংবা শঙ্খের শব্দ। এমন ভাবনাই রয়েছে তাঁর। বলেন, “আমি চাই মানুষ শব্দ দূষণ থেকে মুক্তি পাক। সেই লক্ষেই এই পরিকল্পনা।”
[আরও পড়ুন: বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক সন্দেহে সন্তানদের সামনেই স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে খুন যুবকের!]
উল্লেখ্য, শনিবার পুনেতে চাঁদনি চক মাল্টি-লেভেল ফ্লাইওভার প্রকল্পের উদ্বোধনে গড়কড়ি ছাড়াও ছিলেন মহারাষ্ট্রের উপ-মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবিশ এবং অজিত পওয়ার। এই প্রকল্পে মোট ৪টি ফ্লাইওভার নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়াও ১টি আন্ডারপাস চওড়া করা হয়েছে এবং ২টি নতুন আন্ডারপাস নির্মাণ করা হয়েছে। প্রকল্পে খরচ হয়েছে মোট ৮৬৫ কোটি টাকা।