সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’ বা ইয়াস (Cyclone Yaas) তছনছ করে দিয়ে গিয়েছে বাংলা ও ওড়িশার উপকূলীয় অঞ্চলকে। প্রলয়ের সাক্ষী দুই রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলা। শুক্রবার তা সরেজমিনে দেখতে এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। আকাশপথে বিপর্যস্ত পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ধ্বংসাবশেষ দেখে, পর্যালোচনা বৈঠকে ক্ষয়ক্ষতি খতিয়ে দেখে হাজার কোটি টাকা সাহায্য ঘোষণা করলেন তিনি। দিল্লি ফিরে যেতেই এ কথা জানানো হয়েছে প্রধানমন্ত্রী দপ্তর থেকে। এছাড়া সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
জানা গিয়েছে, এদিন কলাইকুন্ডায় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে অতি অল্প সময়ের জন্য সাক্ষাৎ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। ‘যশে’ যাবতীয় ক্ষয়ক্ষতির হিসেব দেন প্রধানমন্ত্রীকে। সুন্দরবন এবং দিঘাকে নতুন করে সাজিয়ে তুলতে মোট ২০ হাজার কোটি টাকার প্যাকেজ দাবি করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও তাঁর সংশয় ছিল, কতটা পাবেন কেন্দ্রের আর্থিক সাহায্য। প্রধানমন্ত্রী ফিরে যেতেই দেখা গেল, তাঁর আশঙ্কা অনেকাংশে সত্যি। ‘যশ’ বিধ্বস্ত ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড ও বাংলা – তিন রাজ্যের জন্য মোট ১০০০ কোটি টাকার প্যাকেজ দেবে কেন্দ্র। তার মধ্যে সবচেয়ে বিপর্যস্ত ওড়িশাকে বেশি সাহায্য করা হচ্ছে। ওড়িশা পাচ্ছে ৫০০ কোটি টাকা সাহায্য। বাংলা ও ঝাড়খণ্ডের জন্য বরাদ্দ ৫০০ কোটি টাকা। বাংলার পাশে থাকার আশ্বাস দিয়ে বাংলায় টুইট করেন প্রধানমন্ত্রী।
[আরও পড়ুন: করোনা সামালাতে আরও খরচ করা উচিত! ফের কেন্দ্রের ‘ভুল’ ধরলেন অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়]
এদিন ‘যশ’ নিয়ে কলাইকুন্ডায় প্রধানমন্ত্রীর রিভিউ বৈঠকে আমন্ত্রিত ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁদের একান্তে আলোচনা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ওই বৈঠকে ডাকা হয় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরীকে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠকে কেন বিজেপির (BJP) দুই জনপ্রতিনিধি থাকবেন? সেই প্রশ্ন তুলে বৈঠকে যোগ দিতে আপত্তি তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। আলাদাভাবে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে চান। ঠিক হয়, ১৫ মিনিট দু’জনের একান্ত বৈঠক হবে।কিন্তু মাত্র ৫ মিনিটের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মোদির সঙ্গে দেখা করে ক্ষয়ক্ষতির হিসেব তাঁকে বুঝিয়ে দেন। এভাবে বৈঠক এড়ানো নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্য সরকারের ভূমিকার সমালোচনা করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। তিনিও কলাইকুন্ডার বৈঠকে হাজির ছিলেন।