রাহুল চক্রবর্তী: সেফটি শু! আপৎকালীন পরিস্থিতি মোকাবিলায় যাতে পায়ের কোনও ক্ষতি না হয়, তার জন্য বিশেষ ধরনের জুতো তৈরির গবেষণায় জোর দিচ্ছে কেন্দ্রের মোদি সরকার। হবে ‘মেডিকেটেড শু’ নিয়েও গবেষণা। কলকাতায় তৈরি হবে লেদার জ্যাকেট। উৎকর্ষ সাধনে কলকাতা-সহ দেশের সাতটি প্রতিষ্ঠানকে চিহ্নিত করা হয়েছে। গবেষণা খাতে বরাদ্দ হয়েছে ১২৬ কোটি টাকা। সেইসঙ্গে, বিশ্বের বাজারে জুতো উৎপাদনে চিনকে টেক্কা দিতে মরিয়া ভারত সরকার।
সমীক্ষায় উঠে এসেছে, জুতো উৎপাদনের ক্ষেত্রে বিশ্বের প্রথম পাঁচ দেশের মধ্যে শীর্ষ স্থানে রয়েছে চিন। দ্বিতীয় স্থানে ভারত। উৎপাদন আরও বাড়িয়ে চিনকে পিছনে ফেলে দিতে চায় বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার। তার জন্য চর্মশিল্পের মানোন্নয়নে যেমন গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে, তেমনই গবেষণাতেও জোর দিয়েছে কেন্দ্র। তৈরি হয়েছে ফুটওয়ার ডিজাইন অ্যান্ড ডেভলমেন্ট ইনস্টিটিউট বা এফডিডিআই। যোধপুর, কলকাতা, নয়ডা, রোহতক, চেন্নাই, ফুরেসটেনগঞ্জ, চিন্দানওয়ারা, গুনা, হায়দরাবাদ, চণ্ডীগড় ও আঙ্কেলেশ্বরে। শিল্প ও অর্থমন্ত্রকের অধীনস্থ এফডিডিআইতে উৎকর্ষ কেন্দ্র গড়ে তুলতে সাতটি এফডিডিআই-এর জন্য দেশের সরকার মঞ্জুর করেছে ১২৬ কোটি টাকা। যার মধ্যে স্থান পেয়েছে কলকাতাও। যোধপুরের ক্যাম্পাসে গবেষণা হবে ‘সেফটি শু’ নিয়ে, এমনটাই জানিয়েছেন ইনস্টিটিউটের কর্তা নীরজ পাচার। মূলত, সেনাবাহিনী ও খনি শ্রমিকদের সুবিধার্থে জুতো নিয়ে গবেষণা হবে উৎকর্ষ কেন্দ্রে।
[আরও পড়ুন: ঝাড়খণ্ডের রায় LIVE: ঝাড়খণ্ডও হাতছাড়া হচ্ছে বিজেপির! জয়ের পথে কংগ্রেস-জেএমএম জোট]
যোধপুরে এই উৎকর্ষ কেন্দ্র তৈরির কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। গবেষণার উন্নতিতে নর্থ হ্যাম্পটনশায়ার ইউনিভার্সিটির সঙ্গে একটি আলোচনা হয়েছে। বিদেশে যাবেন এফডিডিআইয়ের অধ্যাপকরা। আবার সেখান থেকেও বিশেষজ্ঞরা আসবেন যোধপুরে। ছাত্র, শিক্ষক সকলে মত বিনিময় করবেন। এফডিডিআইয়ের প্রফেসর মহেশ কুমার জানিয়েছেন, উৎকর্ষ কেন্দ্রে গবেষণায় নতুন পথ দেখাবে বলে আমরা আশাবাদী। এছাড়াও এফডিডিআই যোধপুরে ‘মেডিকেটেড শু’ নিয়ে গবেষণায় জোর দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। তার মধ্যে আবার তিন ধরনের জুতো রয়েছে। অর্থোপেডিক, ডায়াবেটিক ও বোন ডিফরমেটিভ। এই তিন ধরনের রোগীদের উপশমে কী ধরনের জুতো তৈরি করা যায়, তা নিয়ে গবেষণা হবে। কলকাতার বানতলায় এফডিডিআইয়ের শাখা রয়েছে। সেখানে হবে লেদার জ্যাকেট, ব্যাগ, সুটকেস, মানিব্যাগ, পার্স নিয়ে গবেষণা। কলকাতার বানতলায় এফডিডিআই-এর শাখা রয়েছে। সেখানেও এই উৎকর্ষ কেন্দ্রে চর্মজাত প্রোডাক্ট নিয়ে আরও গবেষণা হবে বলে জানানো হয়েছে। হায়দরাবাদের ক্যাম্পাসে হবে জুতোর অত্যাধুনিক ডিজাইন নিয়ে গবেষণা। নয়ডা ও চেন্নাইতে মেটাল টেস্টিং, রোহতকে স্পোর্টস শু এবং রায়বরেলিতে মার্কেটিংয়ের কাজ। ফলত বিশ্বের বাজারে ফুটওয়ার ডেভলপমেন্ট এবং ডিজাইনকে নতুন আঙ্গিকে তুলে ধরতে চায় কেন্দ্র সরকার।
The post জুতো উৎপাদনে চিনকে টেক্কা দিতে মরিয়া ভারত, গবেষণা চলছে ‘সেফটি শু’ তৈরির appeared first on Sangbad Pratidin.