সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কোভিডে মৃতদের ডেথ সার্টিফিকেট দেওয়া নিয়ে দীর্ঘ টানাপোড়েনের জেরে সুপ্রিম কোর্টের ভর্ৎসনার শিকার হয়েছিল কেন্দ্র। কোভিডে মৃত্যু হয়েছে- এই তালিকায় কাদের রাখা হবে, কারাই বা সেখানে থাকবেন না, এ নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছিল। দ্রুত বিষয়টি সমাধানের জন্য গত ৩ সেপ্টেম্বর নির্দেশ দেয় দেশের শীর্ষ আদালত। সেই নির্দেশ মেনেই ১০ দিনের মাথায় নয়া গাইডলাইন ইস্যু করল কেন্দ্রীয় সরকার। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চের (ICMR) সঙ্গে যৌথভাবে সরকারি নির্দেশিকার কথা সুপ্রিম কোর্টকে জানাল স্বাস্থ্যমন্ত্রক।
সুপ্রিম কোর্টে জমা দেওয়া হয়েছে গাইডলাইনের সরকারি নথি। কী রয়েছে সেখানে? কেন্দ্র জানিয়েছে, যে সমস্ত রোগীদের হাসপাতালে কিংবা চিকিৎসা কেন্দ্রে RT-PCR টেস্ট, মডিউলার টেস্ট, ব়্যাপিড-অ্যান্টিজেন পরীক্ষা অথবা রাসায়নিকভাবে করা পরীক্ষার মাধ্যমে করোনা ধরা পড়েছে, তাদেরই কোভিডে মৃতের তালিকাভুক্ত করা হবে।
[আরও পড়ুন: দেশের করোনা পরিসংখ্যানে বড়সড় স্বস্তি, একধাক্কায় অনেকটা কমল দৈনিক সংক্রমণ ও অ্যাকটিভ কেস]
করোনা সংক্রমিত হওয়া অবস্থায় যদি কেউ আত্মঘাতী হন অথবা বিষক্রিয়ার কারণে মৃত্যু হয়, তবে তা করোনায় মৃত হিসেবে গণ্য করা হবে না। কোভিড আক্রান্ত অবস্থায় কারও দুর্ঘটনায় প্রাণ গেলেও তা কোভিডে মৃতের আওতায় পড়বে না।
হাসপাতাল কিংবা বাড়িতে কোনও করোনা রোগীর মৃত্যুর কারণ হিসেবে দেখাতে হলে কর্তৃপক্ষকে ফর্ম ৪ ও ৪-এ ইস্যু করতে হবে। রেজিস্ট্রেশন অফ বার্থ অ্যান্ড ডেথ আইনের ১০ নম্বর ধারায় এই ফর্ম আবশ্যক।
এর পাশাপাশি করোনা আক্রান্ত হওয়ায় ৩০ দিনের মধ্যে কোনও ব্যক্তির মৃত্যু হলে তা কোভিডে মৃত বলে গণ্য করা হবে। তা হাসপাতাল কিংবা চিকিৎসা কেন্দ্রের বাইরে হলেও একই নিয়ম প্রযোজ্য থাকবে।
গাইডলাইনে আরও বলা হয়েছে, মেডিক্যাল সার্টিফিকেটে মৃত্যুর কারণ নিয়ে মৃতের পরিবারের অভিযোগ বা অসন্তোষ থাকতে পারে। এক্ষেত্রে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে জেলা স্তরে একটি করে কমিটি তৈরির কথা বলা হবে। নিজেদের সমস্যা যাতে সেখানে জানাতে পারেন মৃতের পরিবারের সদস্যরা। তারাই বিষয়টি খতিয়ে দেখবে।