shono
Advertisement

খরচ কমাতে মরিয়া কেন্দ্র! এবার বেসরকারিকরণের পথে দিল্লির ঐতিহ্যশালী অশোক হোটেল

কেন্দ্রের দাবি, অশোক হোটেল চালাতে লোকসানের মুখ দেখতে হচ্ছে কেন্দ্রকে।
Posted: 11:15 AM Dec 12, 2021Updated: 11:15 AM Dec 12, 2021

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিল্লির অশোক হোটেল (Hotel The Ashok)। দেশের সবচেয়ে ঐতিহ্যশালী প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে একটি। বহু আন্তর্জাতিক সেমিনার, সরকারি অনুষ্ঠানের আয়োজন হয় এই হোটেলেই। সরকারি অতিথিদেরও আবাসস্থল হিসাবে ব্যবহার করা হয় ঐতিহ্যশালী এই হোটেলটিকে। এ হেন ঐতিহ্যবাহী হোটেল থেকেও এবার ‘চেক আউট’ করতে চলেছে সরকার। সূত্রের দাবি, এবার বেসরকারি হাতে যেতে চলেছে হোটেল ‘দ্য অশোক’।

Advertisement

কেন্দ্রের দাবি অশোক হোটেল থেকে আর লাভের মুখ তো দেখাই যাচ্ছে না। উলটে যত দিন যাচ্ছে ততই বাড়ছে লোকসানের পরিমাণ। তাছাড়া ৬৫ বছরের পুরনো হোটেলটির অনেক আসবাবপত্রই এখন রুগ্ণ। সেই সব আসবাবপত্র নতুন করে কিনতে এবং হোটেলটি নতুন করে সুসজ্জিত করতে খরচ হবে অন্তত ৪০০ থেকে ৫০০ কোটি টাকা। সেই বিপুল খরচের বোঝা আর নিজেদের কাঁধে নিতে চাইছে না সরকার। সেজন্যই অশোক হোটেল বেসরকারিকরণের কথা ভাবা হচ্ছে।

[আরও পড়ুন: মাঝরাতে হ্যাক প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির টুইটার অ্যাকাউন্ট, নেপথ্যে কারা?]

সূত্রের খবর, অশোক হোটেল বেসরকারিকরণের নীল-নকশা মোটামুটি তৈরি। প্রাথমিকভাবে ঠিক করা হয়েছে, হোটেলটি ৬০ বছরের লিজে দেওয়া হবে কোনও বেসরকারি সংস্থা। সেই লিজের অর্থের পাশাপাশি লাভের অংশও দাবি করতে পারে কেন্দ্র। যে বেসরকারি সংস্থা অশোক চালানোর দায়িত্ব নেবে, তাঁরা নিজেদের খরচে হোটেলের অন্দরসজ্জা নতুন করে সাজাবে। প্রয়োজনে হোটেলের ভিতরের নির্মাণ সব ভেঙে নতুন করে করা হতে পারে। তবে, হোটেলের বাইরের আকার এবং সাজসজ্জা বদলানো যাবে না। যে কোনও ধরনের বদলের ক্ষেত্রেই হোটেলটির ঐতিহ্যের বিষয়টি নজরে রাখতে হবে।

[আরও পড়ুন: গোয়ায় তৃণমূলকে জোটের প্রস্তাব কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টির! তুঙ্গে জল্পনা]

সূত্রের খবর, চলতি আর্থিক বছরেই এই হোটেলটির বেসরকারিকরণের (Privatisation) প্রক্রিয়া শেষ করতে চায় কেন্দ্র। যদিও তা সম্ভব হবে কিনা তা নিয়ে সন্দিহান খোদ সরকারি আধিকারিকরাই। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, দ্রুত মন্ত্রিসভা অশোক হোটেলের বেসরকারিকরণের প্রস্তাবে ছাড়পত্র দিতে পারে। আসলে বাজেটে মোদি সরকার যে বিপুল অর্থ বেসরকারিকরণের মাধ্যমে রোজগারের টার্গেট রেখেছিল, তার ধারেকাছেও এখনও পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। সেকারণেই এত তড়িঘড়ি সম্পত্তির বেসরকারিকরণের চেষ্টা হচ্ছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement