সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কৃষি আইন (Farmers’ law) প্রত্যাহার ইস্যুতে এবার আরও কৌশলী চাল কেন্দ্রের। দেড় বছরের জন্য কৃষি আইন কার্যকর স্থগিত রাখার প্রস্তাব কৃষকরা উড়িয়ে দেওয়ার পর কেন্দ্রের বক্তব্য, এবার কৃষকরাই সব বুঝে নিক। ফলে শুক্রবার কেন্দ্র-কৃষকের ১১তম বৈঠকেও কোনও সমাধানসূত্র বেরল না। তা কার্যত নিষ্ফলাই হয়ে রইল। আরও উল্লেখযোগ্য, এবারের বৈঠক শেষের পর পরবর্তী আলোচনার কোনও দিনক্ষণ ঠিক হল না।
কেন্দ্রের নতুন তিন কৃষি আইনের বিরোধিতায় প্রায় দু মাস ধরে দিল্লিতে অবস্থান বিক্ষোভ করছেন দেশের নানা প্রান্তের কৃষকরা। রাজধানীর কনকনে ঠান্ডাও তাঁদের আন্দোলনকে দমাতে পারেনি। সমাধান খুঁজতে এ নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে ১১বার বৈঠকে বসেছে কৃষক সংগঠনগুলো। কিন্তু সবটাই নিষ্ফলা। সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) এই সংক্রান্ত মামলার পর কেন্দ্র সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আপাতত দেড় বছর নয়া কৃষি আইন কার্যকর হবে না। মনে করা হয়েছিল, আপাতত কৃষক আন্দোলনে (Farmers protest) লাগাম পরাতে পারে তাদের এই সিদ্ধান্ত। কিন্তু শুক্রবারের বৈঠকে আন্দোলনরত কৃষকরা সাফ জানালেন, স্থগিত নয়, আইন প্রত্যাহারই করতে হবে। অর্থাৎ নিজেদের দাবিতে অনড়ই কৃষকরা।
[আরও পড়ুন: নারকীয়! জ্বলন্ত কাপড় ছুঁড়ে গজরাজকে পুড়িয়ে মারল তামিলনাড়ুর দুই ব্যক্তি]
এদিন আলোচনা শেষে কার্যত হতাশ হয়েই বেরিয়ে আসেন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর। তাঁর কথায়, ”কৃষকরা নিজেদের ভাল বুঝতে পারছেন না। আমার ধারণা, কৃষক সংগঠনের বক্তব্য মোটেই দেশের কৃষকদের মনের কথা নয়। ওঁদের বলা হয়েছে, আমাদের প্রস্তাব ভেবে দেখতে। কিন্তু ওঁরা নিজেদের দাবি নিয়ে অনড় মনোভাব দেখালেন। এবার বল ওদের কোর্টে।” ১১ তম বৈঠকের ফলাফলও শূন্য হওয়ায় তিনি ব্যথিত বলেও জানিয়েছেন।
[আরও পড়ুন: পারিবারিক অশান্তির জের! বন্ধুদের সাহায্যে মায়ের প্রেমিককে অপহরণের চেষ্টা কিশোরের]
জানা গিয়েছে, কৃষিমন্ত্রী পরবর্তী আলোচনার জন্য কৃষকদের দিনক্ষণ স্থির করার কথা বলেছিলেন। সেইসঙ্গে কৃষকদের তরফেও নতুন করে কিছু বলার থাকলে, তা জানতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তাতেও গুরুত্ব দেননি কৃষকরা। সামগ্রিক পরিস্থিতিতে এদিনের বৈঠকের পর কৃষি আইন নিয়ে জট খুলতে উদ্যোগের বদলে কেন্দ্র দায় ঠেলে দিল কৃষকদের দিকেই।