সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জম্মু ও কাশ্মীর আন্তর্জাতিক সীমান্ত দিয়ে বার বার জঙ্গি অনুপ্রবেশ ও অশান্তি চিন্তা বাড়িয়েছে কেন্দ্রের। এহেন পরিস্থিতির মাঝেই এবার বড় পদক্ষেপ নিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের (BSF) ডিরেক্টর জেনারেল ও স্পেশাল ডিরেক্টর জেনারেলকে পদ থেকে সরাল কেন্দ্র। নজিরবিহীন এহেন পদক্ষেপ প্রসঙ্গে বিশেষজ্ঞদের অনুমান, উপত্যকার সাম্প্রতিক পরিস্থিতির শাস্তি পেয়েছেন অইক দুই আইপিএস।
গত বছরের জুন মাসে বিএসএফের ডিজির পদে বহাল হয়েছিলেন নীতীন আগরওয়াল। তবে মেয়াদ শেষের আগেই তাঁকে সেই পদ থেকে সরিয়ে ফেরত পাঠানো হয়েছে রাজ্য স্তরের ক্যাডার পদে। পাশাপাশি একই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে স্পেশাল ডিজি (পশ্চিম) পদে থাকা ওয়াইবি খুরানিয়াকে। তাঁকেও সরানো হয়েছে রাজ্য স্তরের ক্যাডারের দায়িত্বে। শুক্রবার এ বিষয়ে দুটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে। যেখানে বলা হয়েছে দ্রুত যেন এই রদবদল প্রক্রিয়া কার্যকর করা হয়।
[আরও পড়ুন: বন্দুক উঁচিয়ে কৃষককে হুমকি! অবশেষে জামিন পেলেন পূজা খেদকারের মা]
তবে গত ১০ বছরের মধ্যে কেন্দ্রের তরফে এমন বেনজির পদক্ষেপ প্রসঙ্গে বিশেষজ্ঞদের অনুমান, কাশ্মীরের শান্তিরক্ষায় ব্যর্থতার কারণেই শাস্তির খাঁড়া পড়েছে ওই দুই আধিকারিকের উপর। একদিকে যখন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী উপত্যকায় শান্তি রক্ষা ও শক্ত হাতে সন্ত্রাস মোকাবিলার বার্তা দিয়েছেন, সেখানে গত কয়েক মাসে দফায় দফায় রক্তাক্ত হয়েছে জম্মু ও কাশ্মীর। সেনা, পুণ্যার্থীদের উপর হামলার পাশাপাশি ব্যাপকভাবে অনুপ্রবেশের ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। এই ঘটনা তারই শাস্তি বলে মনে করা হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: খাদ্যপণ্য অগ্নিমূল্য! তথাপি ‘খাদ্য উদ্বৃত্ত দেশ ভারত’, দাবি করলেন মোদি]
শুধু তাই নয় তদন্তে জানা যাচ্ছে, উপত্যকায় সন্ত্রাসের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত রয়েছেন বেশ কয়েকজন পুলিশ আধিকারিকও। এই অভিযোগে সম্প্রতি ৫ পুলিশকর্মী ও এক শিক্ষককে বরখাস্ত করেছে সরকার। তদন্তে জানা গিয়েছে, মাদক বিক্রি করে ও পাচারে সহযোগিতা করে জঙ্গি সংগঠনগুলিকে অর্থ সাহায্য করতেন ওই আধিকারিকরা। এমনকি পাকিস্তানের আইএসআই-এর মাদক সন্ত্রাস চক্রের অন্যতম শরিক ছিল এই অভিযুক্তরা। বিষয়টি সামনে আসার সঙ্গে সঙ্গে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেয় জম্মু ২ কাশ্মীর প্রশাসন।