বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত, নয়াদিল্লি: পদক্ষেপ করার ক্ষেত্রে সাংবিধানিক সীমাবদ্ধতা রয়েছে। তাই সংবিধান লঙ্ঘন করেও ছাড় পেয়ে যাচ্ছে রাজ্য সরকারগুলি। এমনকী, রাজ্যপালদের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত কুৎসা করতেও পিছপা হচ্ছেন না রাজনৈতিক নেতারা। যাতে কড়া পদক্ষেপ করতে পারেন তাই রাষ্ট্রপতির কাছে সাংবিধানিক ক্ষমতা বৃদ্ধির দাবি জানালেন একাধিক রাজ্যের রাজ্যপাল। শুক্রবার থেকে রাষ্ট্রপতি ভবনে শুরু হওয়া দুদিনের রাজ্যপালদের সম্মেলনে রাজভবনে বসে নয়, জেলায় গিয়ে জনসংযোগ করার পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
নরেন্দ্র মোদি জমানায় অবিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে রাজ্য সরকারের সঙ্গে রাজ্যপালদের সংঘাত নতুন নয়। অবিজেপি শাসিত একাধিক রাজ্যের বিল রাজভবন আটকে রেখেছে। তা নিয়ে মামলায় সুপ্রিম কোর্ট রাজ্যপালদের সতর্ক করলেও সমস্যা মেটেনি। সূত্রের খবর, দুদিনের সম্মেলনে রাজ্যপালরা কীভাবে আরও সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে পারেন সে বিষয়ে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
[আরও পড়ুন: হোটেলের ঘরে মেয়েদের ধর্ষণ! ছেলেদের সঙ্গেও যৌন সম্পর্ক! অমিত মালব্যর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক সপা]
সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আরও বেশি দায়িত্ব নিয়ে রাজ্যপালদের কাজ করতে হবে। বিশেষ করে আদিবাসী এলাকায়। সরকারি পরিষেবা তাঁদের কাছে আদৌ পৌঁছচ্ছে কি না তা দেখতে হবে।” এছাড়াও কেন্দ্র-রাজ্য সম্পর্কের সেতুবন্ধনে তাঁদের দায়িত্ব স্মরণ করিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। তবে সম্মেলনের শেষদিনে উল্লেখযোগ্য দিক কর্নাটক, তামিলনাড়ু, পাঞ্জাবের রাজ্যপালদের কিছু দাবি। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ও উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকড়ের কাছে সাংবিধানিক অধিকার বাড়ানোর দাবি করেন তাঁরা। সংবিধানে তাঁদের হাত-পা বাঁধা থাকায় অনেক ক্ষেত্রেই কড়া পদক্ষেপের প্রয়োজন হলেও তা করতে পারছেন না বলে অভিযোগ করেন বলে সূত্রের খবর।
[আরও পড়ুন: পোর্শেকাণ্ডের ছায়া এবার উত্তরপ্রদেশে, স্কুটিচালক মহিলাকে শূন্যে উড়িয়ে দিল কিশোরের গাড়ি]
কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ-সহ কয়েকটি অবিজেপি রাজ্যে যেভাবে রাজ্যপালদের সঙ্গে সরকারের সংঘাত চলছে, তারপর রাজভবনের ক্ষমতা বৃদ্ধি করলে অনেক ক্ষেত্রে অচলাবস্থা তৈরি হতে পারে। এখনই নির্বাচিত সরকারের কাজে রাজ্যপালরা বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছেন। এরপর তাঁদের আরও ক্ষমতা বৃদ্ধি করলে রাজ্য সরকারের স্বাধীন কাজকর্মে রাজ্যপালরা প্রতি মুহূর্তে হস্তক্ষেপ করবেন বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।