shono
Advertisement

সামাজিক সহায়তা প্রকল্পে রাজ্যকে ২০৬ কোটি কেন্দ্রের, বাকি আরও এক কিস্তি

আবাসের টাকা নিয়ে সিদ্ধান্ত ১০ মার্চের পর।
Posted: 08:50 AM Mar 05, 2023Updated: 08:57 AM Mar 05, 2023

নব্যেন্দু হাজরা: জাতীয় সামাজিক সহায়তা কর্মসূচি প্রকল্পে (এনএসএপি) ২০৬ কোটি টাকা বরাদ্দ কেন্দ্রের। চলতি মাসের গোড়াতেই এই অর্থ বরাদ্দ হয়েছে বলে নবান্ন সূত্রে খবর। মূলত বার্ধক‌্যভাতা, বিধবাভাতা ও প্রতিবন্ধী ভাতা দেওয়া হয় এই প্রকল্পের টাকায়। ভারত সরকারের গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন বিভাগের যৌথ উদ্যোগে এই ভাতা দেওয়া হয়।

Advertisement

চলতি মাসে ২০২২-২৩ আর্থিকবর্ষের তৃতীয় কিস্তির টাকা দিল কেন্দ্র। আরও এক কিস্তির টাকা এখনও বাকি। সূত্রের খবর, তা আসতে নতুন আর্থিক বছর হয়ে যেতে পারে। পঞ্চয়েত দপ্তরের আওতায় রাজ্যে ২০ লক্ষ ৬৭ হাজার মানুষ এই ভাতা পেয়ে থাকে। তবে এই প্রকল্পে কেন্দ্রের তুলনায় রাজ‌্য সরকার প্রায় দ্বিগুণ অর্থ বরাদ্দ করে এই প্রকল্পে।

[আরও পড়ুন: কুন্তলের বিপুল টাকা সোমার মাধ্যমে কোনও প্রভাবশালীর অ্যাকাউন্টে? নয়া তথ্য ইডির হাতে]

কেন্দ্রীয় আবাস যোজনা, একশো দিনের কাজ-সহ একাধিক প্রকল্পের টাকা দিচ্ছে না কেন্দ্র। যা নিয়ে রাজ্যের তরফে একাধিক চিঠিও দেওয়া হয়েছে। অনিয়মের অভিযোগ তুলে একাধিকবার রাজ্যে ঘুরে গিয়েছে কেন্দ্রীয় দল। কিন্তু তাতেও বিশেষ অনিয়ম তো ধরা পড়েইনি। উলটে দিল্লিতে বাংলার একাধিক প্রকল্প সম্মানিত হয়েছে। তবুও বহু প্রকল্পের আর্থিক বরাদ্দ এখনও অমিল। তারমধ্যেই এনএসএপি প্রকল্পে তৃতীয় কিস্তির বরাদ্দ আসায় এই কাজে আরও গতি আসবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

নবান্নের এক শীর্ষকর্তার কথায়, রাজ্যে এখনও এনএলএম (‌‌ন‌্যাশানাল লেভেল মনিটরিং টিম)-এর একটি দল রয়েছে কোচবিহারে। আবাসের কাজ দেখছে। এরপর দিল্লিতে ফিরে ফের রিপোর্ট পাঠাবে তাঁরা। তবে সূত্রের খবর, আগামী ১০ মার্চ এই প্রকল্পের অর্থ বরাদ্দ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হওয়ার কথা।

[আরও পড়ুন: জামিন কৌস্তভ বাগচির, আদালতে খারিজ পুলিশের আরজি]

জাতীয় সামাজিক সহায়তা কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য হল (এনএসএপি) বৃদ্ধাবস্থা, বিধবা এবং ভিন্নভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের, দারিদ্র সীমার নিচে বসবাসকারী পরিবারগুলি একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তির মৃত্যুর ক্ষেত্রে তাদের নিকটজনদের আর্থিক সহায়তা প্রদান। এক্ষেত্রে এনএসএপি-র নির্দেশিকা মতো রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি এই চিহ্নিতকরণের কাজ করে থাকে। প্রথম দু’কিস্তির টাকা ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের তরফে রাজ‌্যকে দেওয়া হয়েছে। তবে এসবের মাঝে আপাতত গ্রামীণ সড়ক তৈরির উপর সবথেকে বেশি জোর দিচ্ছে নবান্ন। পঞ্চায়েত ভোটের আগেই যতটা বেশি সম্ভব রাস্তা তৈরির কাজে হাত লাগাচ্ছে পঞ্চায়েত দফতর। কোন কোন রাস্তা সারাই হবে এবং কোথায় কোথায় রাস্তা তৈরি হবে, তার তালিকাও ইতিমধ্যেই প্রস্তুত করা হয়েছে। রাজ‌্যজুড়ে প্রায় ১১ হাজার কিলোমিটার গ্রামীণ রাস্তা তৈরি হবে। যার জন‌্য রাজ্যর তরফে বরাদ্দ হয়েছে তিন হাজার কোটি টাকা।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement