স্টাফ রিপোর্টার: মুঠো ফোনে সামান্য খুটখাট, কিংবা মাউসের কয়েকটা ক্লিক। ঘরের দরজায় চলে আসে পছন্দে জিনিস। মোবাইল ফোন থেকে ফ্যামিলি সাইজ পিজ্জা৷ মুদির দোকানে সামগ্রী, ওষুধ, এমনকী আনাজ-পাতিও৷ বাদ নেই কিছুই৷
[বর্ষার মরশুমে গ্রাহকদের জন্য কল্পতরু রিলায়েন্স জিও, কী অফার দিচ্ছে সংস্থা?]
দেশের থেকে কিছুটা দেরিতে হলেও, গত কয়েক বছরে অনলাইনে কেনাকাটায় অভ্যস্থ হয়ে গিয়েছে বাঙালিও৷ বাজার বা দোকানে যাওয়ার প্রয়োজন নেই৷ বরং বাড়িতে সামগ্রী পৌঁছে দিতে যায় অনলাইন শপিং সংস্থার ডেলিভারি বয়৷ সেই সুবিধা তো আছেই৷ অনলাইন শপিংয়ের বাড়তি আকর্ষণ কম দাম৷ যাই কিনুন না কেন, ম্যাক্সিমাম রিটেল প্রাইস বা এমআরপি-র থেকে অনেক কম দামে কেনাকাটা করা যায় আমাজন, ফ্লিপকার্ট, স্ন্যাপডিলের মতো ই’কম পোর্টালগুলিতে। কিন্তু, সেই সুখের দিন আর থাকছে না৷ অনলাইন শপিংয়ে বিপুল ছাড়ের উপর নজরদারি সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র৷
খবরের কাগজে পাতা জোড়া বিজ্ঞাপন৷ দিনভর মেসেজ আসছে মোবাইলে৷ অনলাইনে কেনাকাটায় পঞ্চাশ, ষাট, এমনকী, সত্তর শতাংশ ছাড়৷ লোভের পড়ে ফ্লিপকার্ট, আমাজনের মতো ই’কম পোর্টাল থেকে একগাদা জিনিস কিনে ফেলছেন ক্রেতারা৷ এদিকে পাড়ার মোড়ের দোকানে মাছি তাড়াছেন বিক্রেতা৷ কিন্তু, এত কম দামে কীভাবে চলছে বিকিকিনি? নজরদারি চালাবে কেন্দ্রীয় সরকার৷ তালিকায় শীর্ষে সুইগি, জোম্যাটো, ফুডপান্ডার মতো অনলাইন সংস্থাগুলি৷ সোজা কথায়, খাবার বিক্রির ই’কম পোর্টালগুলি৷ রেস্তরাঁ থেকে খাবার পৌঁছে যাচ্ছে ক্রেতাদের বাড়িতে৷ অথচ লভ্যাংশ বাদ রেখেও দাম অনেকটাই কম! সন্দেহের চোখে দেখছে কেন্দ্রীয় সরকার৷ অনলাইন সংস্থাগুলির অবশ্য দাবি, ক্রেতাদের হাতে পৌঁছনোর আগে বারবারই হাতবদল হয়ে সামগ্রীগুলির৷ কিন্তু, প্রতিক্ষেত্রে লভ্যাংশ দামের সঙ্গে যুক্ত করা হয় না৷ স্বাভাবিক নিয়মে অনেক দামে দিতে হয় ক্রেতাদের৷ অর্থনীতির সাধারণ তত্ত্বেও তেমনটাই হওয়ার কথা৷ কিন্তু, এই কম লাভ ও বেশি ছাড়ের জটিল অঙ্কটাই খতিয়ে দেখতে চাইছে কেন্দ্র৷ নিয়ম মেনে যদি ছাড় দেওয়া, তাহলে অবশ্য চিন্তার কিছু নেই বলে আশ্বাস দিয়েছে৷ এখন প্রশ্ন একটাই, তাহলে কী অনলাইনেও বিভিন্ন সামগ্রীর দাম বাড়তে চলেছে?
[ ফেসবুকের শেয়ারে ধস, একদিনেই রেকর্ড লোকসান জুকারবার্গের]
The post অনলাইনে কেনাকাটায় বিপুল ছাড়, নজরদারি চালানোর সিদ্ধান্ত কেন্দ্রর appeared first on Sangbad Pratidin.