সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হাথরাস গণধর্ষণ কাণ্ডের (Hathras Rape Case) আঁচ এখনও কমেনি। যোগী প্রশাসনের বিরুদ্ধে ফুঁসছে প্রায় গোটা দেশ। এই পরিস্থিতিতে নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে নিজেদের কঠোর মনোভাবের প্রকাশ ঘটাল কেন্দ্র। ইতিমধ্যেই প্রত্যেকটি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে নির্দেশিকাও পাঠানো হয়েছে।
শনিবারের পাঠানো ওই নির্দেশিকায় উল্লেখ করা হয়েছে, যৌন হেনস্তা কিংবা ধর্ষণের ঘটনা ঘটলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রথমেই পুলিশকে এফআইআর (FIR) নিতে হবে। এছাড়াও ধর্ষণের ক্ষেত্রে খুব বেশি হলে দু’মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করতেই হবে। দুষ্কৃতীদের ধরতে যে কোনও ধরনের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। প্রয়োজন হলে জাতীয় ডেটাবেসও ব্যবহার করতে পারেন তদন্তকারীরা। যৌন হেনস্তাকেও যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখার নির্দেশ জারি করেছে কেন্দ্র। সেক্ষেত্রেও এফআইআর করতে হবে। সেক্ষেত্রে কোন থানার অন্তর্গত এলাকায় যৌন হেনস্তার ঘটনা ঘটেছে তা খতিয়ে দেখার কোনও প্রয়োজনীয়তা নেই। যে কোনও থানাতেই এফআইআর করা যেতে পারে। এফআইআর দায়েরের ক্ষেত্রে অনেক সময় পুলিশের বিরুদ্ধে গড়িমসির অভিযোগ ওঠে। তেমন অভিযোগ সামনে এলে ওই পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে নেওয়া হবে আইনি ব্যবস্থা। এমনকী একাধিক ধারায় তাঁর বিরুদ্ধে মামলা রুজুও হতে পারে। সংশ্লিষ্ট পুলিশকর্মীর উপর নেমে আসতে পারে শাস্তির খাঁড়াও।
[আরও পড়ুন: ‘দাবি না মানলে হবে না শেষকৃত্য’, রাজস্থানে পুরোহিত মৃত্যুর ৪৮ ঘণ্টা পরও অনড় পরিবার]
এছাড়াও যে মহিলার ধর্ষণ বা যৌন হেনস্তা হবে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোনও সরকারি চিকিৎসকের মাধ্যমে তাঁর শারীরিক পরীক্ষা করাতে হবে। ধর্ষণের পর নির্যাতিতা মৃত্যুর আগে যদি কোনও বয়ান দিয়ে যান, তবে সেটিকে প্রমাণ হিসাবে মান্যতাও দিতে হবে। এছাড়াও কেন্দ্রের তরফে বলা হয়েছে, রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে দেওয়া সেক্সুয়াল অ্যাসল্ট এভিডেন্স কালেকশন কিট ফরেনসিক টিমকে ব্যবহার করতে হবে। এই নির্দেশিকা অমান্য করা হলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।