সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সকাল থেকে মুশলধারে বৃষ্টি। কিন্তু তাতে কি ডার্বির উত্তাপ কমেছে? এক্কেবারে না। অনেক কষ্টে মরশুমের প্রথম বড় ম্যাচের টিকিট হাতে এসেছে। তাই যেনতেনপ্রকারে পৌঁছে যেতেই হবে যুবভারতীতে। গলা ফাটিয়ে জেতাতে হবে নিজের প্রিয় দলকে। কারণ রবিবারের ফলাফলই অনেকখানি ঠিক করে দেবে কলকাতা লিগের ভবিষ্যৎ। ছুটির দিনের সকালে ইস্ট-মোহন সমর্থকদের উত্তেজনার ছবিটা ঠিক এমনই।
প্রস্তুতির পালা শেষ হয়ে গিয়েছে। এখন আলোচনা একটাই। ইলিশ-চিংড়ির ঐতিহ্যের লড়াইয়ে শেষ হাসি কে হাসবে। ইস্টবেঙ্গল নাকি মোহনবাগান। সঞ্জয় সেনের মতো প্রাক্তনরা খানিকটা হলেও ধারাবাহিকতার দিক থেকে এগিয়ে রেখেছেন মোহনবাগানকে। আবার দলগত শক্তির দিক থেকে ইস্টবেঙ্গলকেই অ্যাডভান্টেজ ধরছেন বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য। অর্থাৎ টক্কর যে সেয়ানে-সেয়ানে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
[ফের চালকের আসনে ইংল্যান্ড, বিরাটদের চাপে রাখলেন বাটলার-কুরান]
কলকাতা লিগের প্রতিটি ম্যাচই হচ্ছে ময়দানে। মাঝে মোহনবাগান একটি ম্যাচ খেলেছে কল্যাণীতে। সমর্থকদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই ডার্বি হবে যুবভারতীতে। কোনওরকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতি যাতে তৈরি না হয়, তার জন্য দর্শকদের বেশ কিছু নিয়মাবলীর কথাও জানানো হয়েছে। মাঠে পৌঁছনোর আগে সেসবে একবার নজর বুলিয়ে রাখতে পারেন। মাঠে কী কী নিয়ে ঢোকা যাবে, তার নির্দেশিকা জারি করেছে বিধাননগর কমিশনারেট। মোবাইল এবং মোবাইল চার্জ করার পাওয়ার ব্যাংক, ম্যাচের টিকিট, মানি ব্যাগ, হেড ফোন ছাড়া আর কিছু নিয়ে মাঠে ঢুকতে পারবেন না দর্শকরা। সিগারেট, দেশলাই বাক্স, জলের বোতল, বাইরের খাবার, ছাতা, বাইকের হেলমেটের মতো সামগ্রী নিয়ে প্রবেশ করা যাবে না। তল্লাশির পর ব্যাগ নিয়ে ঢুকতে পারবেন মহিলারা। পুরুষদের ক্ষেত্রে পার্স নিয়ে ঢোকার অনুমতি রয়েছে। এছাড়া পতাকা বা ফ্লেক্স নিয়ে সমর্থকরা মাঠে ঢুকতে পারবেন। তবে তা খুব বড় মাপের হলে আটকে দেওয়া হবে।
[গোটা বাংলার তাসপ্রেমীদের আদর্শ এখন প্রণব-শিবনাথ জুটি, খুশি পরিজনরাও]
বিধাননগরের ডিসি (সদর) অমিত জাভালগি জানান, ডার্বির জন্য প্রায় তিন হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হচ্ছে। সাদা পোশাকেও নজরদারি চালাবে পুলিশ। এছাড়া ড্রোন ও সিসিটিভির মাধ্যমেও চলবে নজরদারি। দুপুর আড়াইটে থেকে দর্শকরা স্টেডিয়ামে প্রবেশ করতে পারবেন। ব়্যাম্পের কাছে খাবার এবং জলের ব্যবস্থা থাকবে। ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা ১, ২, ৫ নম্বর গেট এবং মোহনবাগান সমর্থকরা ৩, ৩ এ, ৪ নম্বর গেট দিয়ে মাঠে ঢুকতে পারবেন। গাড়ি নিয়ে এলে তা পার্ক করতে হবে ১৩ নং ট্যাঙ্ক, সুভাষ সরোবর এবং সল্টলেক স্টেডিয়ামের কাছে আমুল আইল্যান্ডের দু’দিকের রাস্তায়। পাশাপাশি ম্যাচের পর স্টেডিয়াম চত্বর থেকে বিভিন্ন দিকে ৩০টি অতিরিক্ত বাসও চলবে সমর্থকদের সুবিধার্থে।
The post ডার্বির জন্য কড়া নিরাপত্তা যুবভারতীতে, কী কী নিয়ে প্রবেশের অনুমতি রয়েছে? appeared first on Sangbad Pratidin.