ইস্টবেঙ্গল: ১ (চুলোভা)
রেনবো: ০
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ম্যাচ শুরুর আগে ইস্টবেঙ্গল শিবিরে চিন্তার কারণ ছিল দুটি, এক আত্মতুষ্টিতে ভুগতে পারেন ফুটবলাররা, দুই আক্রমণভাগ ভাল খেললেও সব সুযোগ কাজে লাগানো যাচ্ছে না। পাশের ক্লাব মোহনবাগানের গতি এখন অশ্বমেধের ঘোড়ার মতো। শেষ ম্যাচেই পুলিশের বিরুদ্ধে ৫ গোল মেরে ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে গোলপার্থক্যে সমতা ফিরিয়েছিল সবুজ-মেরুন শিবির। তাই এই ম্যাচে নামার আগে কিছুটা হলেও চাপে ছিল লাল-হলুদ শিবির। তবে, ফুটবল বিশেষজ্ঞরা ম্যাচ শুরুর আগে সুভাষ ভৌমিকের দলকেই অবিসংবাদী ফেভরিট ধরে নিচ্ছিলেন। কিন্তু ইস্টবেঙ্গলের এদিনের পারফরম্যান্স মন ভরাতে পারল না সমর্থকদের।
[স্পনসর নয়, ক্লাবের টাকাতেই বেতন পেলেন মোহনবাগান ফুটবলাররা]
কলকাতা লিগে এখনও একটি গোলও হজম করতে হয়নি ইস্টবেঙ্গলকে। তাই রেনবো ম্যাচের আগে ডিফেন্স নিয়ে খুব একটা চিন্তা ছিল না সুভাষ ভৌমিকের। কিন্তু লাল-হলুদ টিডি একটি বিষয়ে চিন্তিত ছিলেন। তা হল তাঁর আক্রমণভাগ। আমনা ছাড়া আক্রমণভাগের আর কোনও ফুটবলার সেভাবে সুযোগ তৈরি করতে পারছিলেন না। ভাল প্লে-মেকারের অভাবটা আরও একবার চোখে পড়ল ইস্টবেঙ্গলের খেলায়। গোটা ম্যাচে ওপেন প্লে থেকে গোল এল না একটাও। তার কারণ অবশ্যই সুযোগ তৈরি না হওয়া। আমনা ছাড়া অন্য কোনও ফুটবলার সেভাবে সুযোগ তৈরি করতে পারছিলেন না। ম্যাচের একমাত্র গোলটিও এল পেনাল্টি স্পট থেকে। ম্যাচের ২৪ মিনিটে ডি-বক্সের মধ্যে সুরাবুদ্দিনকে বিপজ্জনকভাবে ফাউল করেন সৌরভ। পেনাল্টির নির্দেশ দেন রেফারি। পেনাল্টি স্পট থেকে গোল করতে ভুল করেননি চুলোভা। চুলোভার সেই গোলেই এদিনের মতো মানরক্ষা হল ইস্টবেঙ্গলের।
[প্রয়াত প্রাক্তন ক্রিকেটার গোপাল বসু, বাংলার ক্রিকেটমহলে শোকের ছায়া]
কষ্টার্জিত জয়েই অবশ্য লক্ষ্মীলাভ হল লাল-হলুদের। পয়েন্ট টেবিলে মোহনবাগানকে সরিয়ে শীর্ষস্থানে ফিরে এল ইস্টবেঙ্গল। ৬ ম্যাচে তাদের সংগ্রহ ১৬ পয়েন্ট। সমসংখ্যক ম্যাচে সমসংখ্যক পয়েন্ট রয়েছে মোহনবাগানেরও। তবে, গোলপার্থক্যে এগিয়ে রয়েছে লাল-হলুদ শিবির। মোহনবাগানের গোলপার্থক্য যেখানে ১১ সেখানে ইস্টবেঙ্গলের গোলপার্থক্য গিয়ে দাঁড়াল ১২ তে। ডার্বির আগে এদিনের পারফরম্যান্স খুব একটা নজর না কাড়লেও, লিগের শীর্ষস্থানে থাকা কিছুটা স্বস্তি দেবে সুভাষ ভৌমিককে।
The post রেনবোর বিরুদ্ধে কষ্টার্জিত জয়, ফের লিগ শীর্ষে ইস্টবেঙ্গল appeared first on Sangbad Pratidin.