সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আজ সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) ঝাড়খণ্ডের সদ্য প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ ঠিক হবে। আর অন্যদিকে নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে এদিনই শপথ নেবেন তাঁর দলেরই নেতা চম্পাই সোরেন (Champai Soren)।
বুধবার রাতে গ্রেপ্তার হতেই পরদিন সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন হেমন্ত। বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে বিষয়টি উল্লেখ করেন তাঁর আইনজীবী কপিল সিবাল (Kapil Sibbal)। আবেদন গ্রহণ করে আজ শুনানি হবে বলে নির্দেশ দেন প্রধান বিচারপতি। যেহেতু বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টের বিচারাধীন তাই হেমন্তকে আপাতত একদিনের জেল হেফাজত দেয় রাঁচির আদালত। জানা গিয়েছে, হেমন্তকে ১০ দিনের জন্য হেফাজতে চেয়ে আবেদন করেছিল ইডি। অন্যদিকে, হেমন্ত গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকেই ঝাড়খণ্ডের রাজনীতিতে নানা নাটকীয় ঘটনা ঘটে চলেছে। এদিন মুখ্যমন্ত্রিত্বের দাবি নিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন নবনির্বাচিত পরিষদীয় দলনেতা চম্পাই সোরেন। জোট বিধায়কদের কার্যত প্যারেড করান। কিন্তু রাজ্যপাল তাঁকে শপথ গ্রহণের দিনক্ষণ না জানানোয় তড়িঘড়ি জোটের বিধায়কদের হায়দরাবাদে যাওয়ার পরিকল্পনা হয়। কিন্তু দৃশ্যমানতা কম থাকার অজুহাত দেখিয়ে উড়ান বাতিল করা হয়।
[আরও পড়ুন: বাজেটে কমল তফসিলি জাতি, উপজাতি সংখ্যালঘুদের বরাদ্দ, কাটছাঁট শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতেও]
এরপর বেশি রাতে রাজ্যপাল সিপি রাধাকৃষ্ণাণ চম্পাইকে মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিতে আমন্ত্রণ জানান। আজ, শুক্রবার চম্পাই ঝাড়খণ্ডের নতুন মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেবেন। দশদিনের মধ্যে তাঁকে বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে বলা হয়েছে। তবে ঝাড়খণ্ডে বিজেপির ‘অপারেশন লোটাস’-এর আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। কারণ, ইতিমধ্যেই জেএমএমের (JMM) চার বিধায়ক ‘নিখোঁজ’ বলে সূত্রের খবর। তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। এরপরই চম্পাই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তাঁর বিধায়কদের নিয়ে তিনি হায়দরাবাদে চলে যাবেন। রাতে রাজ্যপাল তাঁকে শপথ নিতে আমন্ত্রণ জানানোয় জেএমএম শিবিরে কিছুটা স্বস্তি এলেও সরকার গঠন নিয়ে পুরোপুরি সাসপেন্স কাটছে না।
[আরও পড়ুন: এই বয়সি মেয়েদের ক্যানসারের টিকা দেবে মোদি সরকার, বাজেটে ঘোষণা নির্মলার]
রাজনৈতিক মহলের আশঙ্কা, চম্পাই শুক্রবার শপথ নেওয়ার পরেও গেরুয়া শিবির ঘোড়া কেনাবেচার চেষ্টা চালিয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে বিধানসভায় আস্থাভোটে চম্পাইকে পরাস্ত করে বিজেপি সরকার গঠনের দিকে যেতে পারে। যদিও চম্পাই শিবিরের দাবি সরকারে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে কোনও সংশয় নেই। তাঁদের হাতে অন্তত ৪৭ জন বিধায়কের সমর্থন রয়েছে।