সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: খেলার ময়দান থেকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির গণ্ডগোল ক্রমশ রাজনৈতিক দিকে মোড় নিচ্ছে। শুরুটা অবশ্য করেছিল পাকিস্তানই। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে পাকভূমে ভারতের না যাওয়ার বিষয়ে তাদের সরকারের কাছে নিয়ে গিয়েছিল পিসিবি। এমনকী পাক অধিকৃত কাশ্মীরে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ট্যুরের আয়োজনও করে তারা। আইসিসির নির্দেশে সেটা বাতিল হলেও নেপথ্যে রয়েছে জয় শাহর পদক্ষেপ।
জানা যাচ্ছে, বিতর্কিত এলাকায় চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ট্যুর নিয়ে বিসিসিআইয়ের সচিব তীব্র নিন্দা করেছেন। পুরোটাই যে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ, তেমনটাই বক্তব্য তাঁর। যার ফলে ক্রিকেটের ক্ষতি বই লাভ হবে না। স্কার্দু, মুরি, মুজফফরাবাদে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিটি ঘোরানোর ব্যবস্থা করেছিল পিসিবি। যা পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মধ্যে পড়ে। শেষ পর্যন্ত আইসিসি হস্তক্ষেপ করায় তা বাতিল করা হয়।
সেই বিষয়ে একটি সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে, "পাক অধিকৃত কাশ্মীরে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ট্যুর করানোর যে ঘোষণা পিসিবি সরকার করেছিল, তা নিয়ে তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন বিসিসিআই সচিব জয় শাহ। এই নিয়ে ভারতের অবস্থান ফের স্পষ্ট করলেন জয় শাহ।" সেই সূত্রের সংযোজন, "জয় শাহ বিষয়টি নিয়ে আইসিসি-র কাছে যান। তিনি নিয়ামক সংস্থাকে এই নিয়ে উপযুক্ত পদক্ষেপ নিতে বলেন। কারণ খেলাধুলোর জগতে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ ও ভারতের অখণ্ডতা নিয়ে বিসিসিআই যথেষ্ট চিন্তিত।"
তবে ওয়াকিবহাল মহলেই ধারণা, পাকিস্তান পরিকল্পিতভাবেই রাজনীতির সঙ্গে খেলাকে মিশিয়ে দিতে চাইছে। ভারতের আপত্তির পর পিসিবি তাদের সরকারের দ্বারস্থ হয়। এমনকী শাহবাজ সরকার থেকে রীতিমতো গর্জন করা হয়, "কোনওমতেই ম্যাচগুলো পাকিস্তানের বাইরে সরানো যাবে না।" আসলে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির বিতর্ক নিয়ে কোথাও হালে পানি পায়নি পাকিস্তান। অন্যদিকে রাষ্ট্রসংঘ হোক বা ইসলামিক কো-অপারেশনের সংগঠন, কোথাও কাশ্মীর সমস্যা নিয়ে কলকে পায়নি। এই পরিস্থিতিতে ক্রিকেটকে রাজনীতির সঙ্গে মিশিয়ে নিজেদের গুরুত্ব বাড়াতে চাইছে তারা। পাক অধিকৃত কাশ্মীরে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ট্যুরের পরিকল্পনা তারই অংশ বলে মনে করছেন অনেকে। আইসিসির হস্তক্ষেপে সেটা বাধা পাওয়ায় ব্যাকফুটে পাকিস্তান। সেই সঙ্গে কড়া প্রতিক্রিয়া জানালেন বিসিসিআই সচিবও।