স্টাফ রিপোর্টার: ভারত কেন পাকিস্তানে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে যাবে না, এখনও সরকারি ভাবে তা জানে না পাকিস্তান। এক সপ্তাহ আগে ভারতের না যাওয়ার কারণ জানতে চেয়ে আইসিসিকে চিঠি দিয়েছিল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। কিন্তু তার কোনও উত্তর এখনও আসেনি।
১৯৯৬ সালের পর দেশের মাটিতে কোনও আইসিসি টুর্নামেন্ট আয়োজন করছে পাকিস্তান। যার নাম চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। যা শুরু হবে আগামী বছর ফেব্রুয়ারি থেকে। কিন্তু ভারতীয় বোর্ড ইতিমধ্যে আইসিসিকে জানিয়ে দিয়েছে যে, তারা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে পাকিস্তান যাবে না। যার পর চরম সংকট তৈরি হয়েছে টুর্নামেন্ট নিয়ে। কারণ, পাকিস্তান টুর্নামেন্টের একটা ম্যাচও দেশের বাইরে যেতে দেবে না। যার পরপর পাক বোর্ড আইসিসির কাছে চিঠি দিয়ে জানতে চায়, ভারতের পাকিস্তানে খেলতে না যেতে চাওয়ার কারণ। কিন্তু তার উত্তর আসেনি। তবে তার পরেও টুর্নামেন্ট শান্তিপূর্ণ ভাবে আয়োজন করা নিয়ে আশাবাদী পাক বোর্ডের চেয়ারম্যান মহসিন নকভি। দরকারে ভারতীয় বোর্ডের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চায় তারা।
‘‘আইসিসির তরফ থেকে কোনও উত্তর আমরা পাইনি। আমি বিশ্বাস করি, খেলার সঙ্গে রাজনীতিকে গুলিয়ে ফেলা উচিত নয়। আমরা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে এখনও আশাবাদী। এখনও বিশ্বাস করি, সব সংকট কেটে যাবে,’’ সোমবার সাংবাদিকদের বলে দেন পাক বোর্ডের চেয়ারম্যান। নকভির সংযোজন, ‘‘এই মুহূর্তে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অংশগ্রহণকারী সমস্ত দলই পাকিস্তানে খেলতে চায়। কেউ কোনও সমস্যার কথা বলেনি। আবারও বলছি, ভারতের যদি কোনও সমস্যা থেকে থাকে, আমাদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে পারে। আমরা সেই সব সমস্যা মিটিয়ে দেব। আমার মনে হয় না, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে পাকিস্তানে না আসার কারণ ভারতের রয়েছে বলে।’’ এর পাশাপাশি পাক অধিকৃত কাশ্মীরে (PoK) ট্রফি ট্যুর নিয়ে আইসিসির নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দেন নাকভি। খোঁচা দিয়ে বলেন, "আইসিসিকে নিজের বিশ্বাসযোগ্যতা নিজেকেই প্রমাণ করতে হবে। তারা দুনিয়ার সব বোর্ডের নিয়ামক সংস্থা। আর তাছাড়া পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ট্রফি ট্যুরের শিডিউল বদলেছে, বাতিল হয়নি।"
ভারতীয় বোর্ড হাইব্রিড মডেলে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে চাইছে। অর্থাৎ, ভারত খেলবে অন্য দেশে। পাকিস্তানে খেলবে বাকি দেশ। কিন্তু পাকিস্তান সে প্রস্তাবে এতটুকু সম্মত নয়। বরং প্রয়োজনে পাকিস্তান টুর্নামেন্ট বয়কট করতে পারে, সে হুমকিও দিয়ে রাখা হয়েছে। এদিনও সেটা নিয়ে জিজ্ঞাসা করা হয় নকভিকে। তিনি বলেন, ‘‘একটাই কথা বলব। পাকিস্তানের সম্মান সবার আগে।’’