ভারত: ৫৩৬/৭ (ডিক্লেয়ার)
শ্রীলঙ্কা: ৩৫৬/৯ (ম্যাথিউজ-১১১, চান্ডিমাল-১৪৭*)
তৃতীয় দিনের শেষে ভারত এগিয়ে ১৮০ রানে
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটারদের ‘নাটক’ সত্যিই অনেকখানি কাজে দিল। বিরাট কোহলির ট্রিপল সেঞ্চুরি যেমন আটকে দেওয়া গেল, তেমনই তৃতীয় দিন জোড়া সেঞ্চুরি হাঁকালেন দুই শ্রীলঙ্কান ব্যাটসম্যান। ফলে যে টেস্টে ভারতীয় দল জয়ের দিকেই এগোচ্ছিল, তার মোড় ঘুরিয়ে দিতে অনেকটাই সফল সফরকারীরা।
[পাকা খবর, শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ওয়ানডের পরই অবসরে ধোনি]
কী হয়েছিল দিল্লি টেস্টের দ্বিতীয় দিন? দিল্লির মাত্রাছাড়া দূষণে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন একাধিক শ্রীলঙ্কান ফিল্ডাররা। ফলে ফিল্ডিং করার মতো খেলোয়াড়ই ছিলেন না। মাঠে উপস্থিত খেলোয়াড়রাও তখন মুখে মাস্ক পরে। ওই পরিস্থিতিতে দেখা যায়, শ্রীলঙ্কা দলের ফিল্ডিং কোচ এবং ফিজিও পর্যন্ত জার্সি পরে ফিল্ডিং দেওয়ার জন্য তৈরি হয়ে যান। শেষমেশ সাত উইকেটে ৫৩৬ রানে নিজেদের ইনিংস ডিক্লেয়ার করে দিতে বাধ্য হলেন ভারত অধিনায়ক। ঘটনায় ক্ষুব্ধ হন কোচ রবি শাস্ত্রীও। কিন্তু অনেকেই সেই ঘটনাকে ইচ্ছাকৃত বা সাজানো বলেই ব্যাখ্যা করেছেন। কারণ ওই অবস্থায় মুখ চেপে অনেক লঙ্কা ক্রিকেটারকে হাসতেও দেখা গিয়েছে। টিম ইন্ডিয়ার রানের পাহাড় রুখতেই এই স্ট্র্যাটেজি শ্রীলঙ্কার। এমনই মত ক্রিকেটমহলের একাংশের। তবে ঘটনা যাই হোক, বিরাটের বাধ্য হয়ে নেওয়া সিদ্ধান্তে যে লাভবান হল সফরকারী দলই, তা তৃতীয় দিন স্পষ্ট। বিরাটের ব্যাটিংয়ে কাঁটা হয়ে ওঠা লঙ্কাবাহিনীকে বোলিং দিয়ে সেভাবে মাত করতে পারলেন না অশ্বিন-জাদেজারা। এদিন ছ’টি উইকেট পড়ল ঠিকই, কিন্তু স্কোরবোর্ডে রানটাও হয়ে গেল তাদের। ম্যাথিউজ ও চান্ডিমালের জোড়া সেঞ্চুরিতেই ব্যবধান অনেকখানি কমিয়ে ফেলে শ্রীলঙ্কা। দিনের শেষে অপরাজিত চান্ডিমাল।
তবে ম্যাথিউজের মূল্যবান উইকেটটি তুলে নিয়ে স্বস্তি ফেরান অশ্বিন। তারপরই কড়া হয় ভারতীয় স্পিন অ্যাটাক। দিনের শেষে ন’টা উইকেট হারালেও রানের ব্যবধান অনেকটাই কমিয়ে ফেলে শ্রীলঙ্কা। তবে যে ম্যাচ যেদিকে গড়াচ্ছে, তাতে ড্রয়ের সম্ভাবনাও পুরোপুরি উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। তবে হাতে আরও দুদিন। ফের যদি কোটলায় দ্বিতীয় ইনিংসে বিরাট ঝড় ওঠে তাহলে সিরিজ ২-০ শেষ হওয়া আটকায় সাধ্য কার!
[OMG! ধোনির কন্যা জিবার এই প্রতিভাও রয়েছে!]
The post দূষণ বিতর্কে গড়াল জল, ম্যাথিউজ-চান্ডিমালের জোড়া সেঞ্চুরিই ভরসা লঙ্কার appeared first on Sangbad Pratidin.