সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চন্দ্রযান ৩ মিশনের (Mission Chandrayaan-3) দোরগোড়ায় ইসরো (ISRO)। ১৪ জুলাই দুপুর ২টো ৩৫ মিনিটে চন্দ্রযান ৩-কে সঙ্গে নিয়ে মহাকাশে পাড়ি দেবে ভারতীয় প্রযুক্তিতে তৈরি LVM3 রকেট। অভিযান সফল করতে বুধবারই প্রযুক্তিগত যাবতীয় দিক খতিয়ে দেখা সম্পূর্ণ হয়েছে। একপ্রস্থ মহড়াও হয়। ঐতিহাসিক মিশনের সাফল্য কামনায় বৃহস্পতিবার তিরুপতি মন্দিরে পুজো দিলেন বিজ্ঞানীদের একটি দল।
আগেই ইসরোর তরফে টুইট করা জানানো হয়েছিল, “চন্দ্রযান ৩ উৎক্ষেপণ হবে ১৪ জুলাই, ২০২৩, শ্রীহরিকোটা থেকে দুপুর ২টো ৩৫ মিনিট নাগাদ৷ আপডেটের জন্য সঙ্গে থাকুন।” পরের আপডেটে জানানো হয়, প্রস্তুতি পর্ব মোটের উপর শেষ হয়েছে। উৎক্ষেপণের এক দফা ‘রিহার্সাল’ও দিয়ে ফেলেছেন বিজ্ঞানীরা। ইতিমধ্যে LVM3 রকেটের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়েছে চন্দ্রযান ৩-কে।
[আরও পড়ুন: ‘এখন কেন এসেছেন?’ প্রশ্ন তুলে বন্যা পরিস্থিতি দেখতে আসা বিধায়ককে সপাটে চড় মহিলার]
২০০৮ সালের ২২ অক্টোবর সফলভাবে উৎক্ষেপণ করা হয় চন্দ্রযান ১। মহাকাশযানটি শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল। ইসরোর মতে, মহাকাশযানটি চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে ১০০ কিলোমিটার উচ্চতায় চাঁদের চারপাশে প্রদক্ষিণ করছিল। উদ্দেশ্য ছিল চাঁদের রাসায়নিক, খনিজ, ভূতত্ত্ব সম্পর্কে তথ্য অন্বেষণ করা।
[আরও পড়ুন: খুচরো বাজারে হাতে ছ্যাঁকা, ৩ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ মূল্যবৃদ্ধি]
চন্দ্রযান ২ ছিল আরও কঠিন অভিযান। ২০১৯ সালের ২২ জানুয়ারি উৎক্ষেপণ হয় চন্দ্রযান ২। চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে ২.১ কিলোমিটার দূরে থাকাকালীন শ্রীহরিকোটার মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় চন্দ্রযান ২-এর। সফটওয়্যারের ত্রুটির কারণে ২০১৯-এর ৬ সেপ্টেম্বর অবতরণের চেষ্টা করার সময় চন্দ্রযান ২-এর ল্যান্ডারটি চাঁদের পৃষ্ঠে “হার্ড ল্যান্ডিং” করে। এর পরেই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
চন্দ্রযান ৩ মিশনে আর কোনও ত্রুটি বিচ্যুতি চায় না ইসরো। এই কারণে বুধবার একপ্রস্থ ‘রিহার্সাল’ দেওয়া হয়েছে। যা সফল হয়েছে বলেই জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। পাশাপাশি বৃহস্পতিবার তিরুপতি মন্দিরে গিয়ে ঈশ্বরের কাছে মিশনের সাফল্য কামনায় প্রার্থনা করলেন। এখন মাহেন্দ্রক্ষণের অপেক্ষায় ইসরোর বিজ্ঞানীদের পাশপাশি গোটা দেশ।