সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাঞ্জাবের (Punjab) নয়া মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন চরণজিৎ সিং চান্নি। সোমবার সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ চণ্ডীগড়ের রাজভবনে তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করালেন রাজ্যপাল বানওয়ারিলাল পুরোহিত। এর ফলে প্রথম দলিত মুখ্যমন্ত্রী পেল উত্তর ভারতের এই রাজ্যটি। পাশাপাশি এদিন উপ-মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন সুখজিন্দর রানধাওয়া এবং ব্রাহম মহিন্দ্রা।
প্রত্যাশামতোই শপথবাক্য অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি তথা ওয়ানাড়ের সাংসদ রাহুল গান্ধী এবং পাঞ্জাব কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট নভজ্যোত সিং সিধু। তবে ছিলেন না প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং। যা ফের প্রমাণ করল দলের সঙ্গে রীতিমতো দূরত্ব তৈরি হয়েছে তাঁর। এদিকে, টুইট করে পাঞ্জাবের নতুন মুখ্যমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
[আরও পড়ুন: পরিবারের আপত্তি, প্রেমিককে বিয়ে করতে প্রিয়জনদের বিষ খাওয়াল তরুণী!]
মুখ্যমন্ত্রীর নাম ঠিক করতে শনিবার বিকেলেই বৈঠকে বসেছিল কংগ্রেসের পরিষদীয় দল। সেখানে দলের ৮২ জনের মধ্যে ৮০ জন বিধায়কই উপস্থিত ছিলেন। শুধু ক্যাপ্টেন নিজে এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ এক বিধায়ক হাজির হননি। কংগ্রেস পরিষদীয় দলের ওই বৈঠকেই নাকি সোনিয়া গান্ধীর উপর পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচনের দায়িত্ব তুলে দেন দলের বিধায়করা। তারপরই তৎপর হয় হাইকম্যান্ড।
গান্ধী পরিবারের ঘনিষ্ঠ হওয়ার জেরেই অম্বিকা সোনি লড়াইয়ে সবার থেকে এগিয়ে ছিলেন। কিন্তু তিনি রাজি না হওয়ায় অন্য বিকল্পের কথা ভাবতে হয় হাইকম্যান্ডকে। দৌড়ে এগিয়ে ছিলেন রাহুল গান্ধী ঘনিষ্ঠ প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সুনীল জাখর। ভাবনাচিন্তা চলছিল নভজ্যোত সিং সিধুর নাম নিয়েও। এছাড়াও শোনা যাচ্ছিল পাঞ্জাবের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে রয়েছেন বর্ষীয়ান নেতা প্রতাপ সিং বাজওয়া এবং রবনীত সিং বিট্টো। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সমস্ত জল্পনার শেষে চরণজিৎকেই বেছে নেয় দলীয় নেতৃত্ব।
[আরও পড়ুন: ফের জঙ্গিদের নিশানায় উরি! নিয়ন্ত্রণরেখায় ‘সন্দেহজনক’ গতিবিধি নজরে আসতেই অভিযান সেনার]
প্রসঙ্গত, শনিবারই দলের অন্তর্কলহের জেরে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেন ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং। ২০১৭ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই নভজ্যোত সিং সিধুর সঙ্গে সেভাবে বনিবনা হয়নি মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দরের। সিধুকে প্রথমে নিজের মন্ত্রিসভায় জায়গা দিলেও, তেমন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রক দেননি ক্যাপ্টেন। সময়ের বদলের সঙ্গে সঙ্গে পাঞ্জাব কংগ্রেসে ক্রমশ গুরুত্ব বেড়েছে সিধুর (Navjyot Singh Sidhu)। পাল্লা দিয়ে জনপ্রিয়তা কমেছে ক্যাপ্টেনের। সিধু দলের অন্দরে থেকেই লাগাতার আক্রমণ শানিয়ে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিংয়ের বিরুদ্ধে। শেষ পর্যন্ত ইস্তফা দেন অমরিন্দর।