সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা সারাতে ভারতের বাজারে হাজির দুই রেমডেসেভির আর ফ্যাভিপিরাভির। এই তথ্য সামনে আসার পর থেকেই স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছিল আমজনতা। মনে করছিলেন, করোনা উপসর্গ দেখা দিলেই পাড়ার ওষুধের দোকান থেকে মুড়ি-মুড়কির মতো সেই ওষুধ কিনে খেয়ে ফেলতে পারবেন তাঁরা। তাদের সেই ইচ্ছেই এবার বাদ সাধল ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া। এই দুই ওষুধের ব্যবহার নিয়ে নয়া নির্দেশিকা জারি করল DCGI। জানিয়ে দিল, ওষুধের দোকানে মিলবে না এই ওষুধ। বরং প্রস্তুতকারী সংস্থা সরাসরি কোভিড হাসপাতালগুলিতে এই দুই ওষুধ সরবরাহ করবে। দুই ওষুধের দামও নির্ধারিত করে ফেলেছে প্রস্তুতকারী সংস্থা।
বুধবার ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া-র তরফে নয়া নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, সংকটজনক অবস্থায় থাকা করোনা রোগীদের উপর রেমডেসেভির (Remdesivir) আর ফ্যাভিপিরাভির (Favipiravir) ব্যবহার করা হবে। তবে সেই ওষুধ প্রয়োগের আগে রোগী বা তাঁর পরিবারকে একটি চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করতে হবে। যেখানে স্পষ্টভাবে লেখা থাকবে, “এই ওষুধ ব্যবহারের সুফল ও বিপদ সম্পর্কে আমি ওয়াকিবহাল। আমার চিকিৎসক আমাকে সমস্তটাই জানিয়েছেন। তার পরই আমি এই ওষুধ নিতে রাজি হয়েছি।” সরকারি সূত্রে খবর, জুন থেকে সেপ্টেম্বর-এই চারমাস ফ্যাভিপিরাভির ব্যবহার করা হবে। তারপর তাঁর ব্যবহারের ফল সম্পর্কে রিপোর্ট তৈরি করা হবে। প্রসঙ্গত, ভারতে দুটি ওষুধেরই কোনও ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল হয়নি।
[আরও পড়ুন : গায়ের রং দিয়ে পাত্র-পাত্রীর বিচার? তীব্র বিতর্কের মুখে পড়ে ‘স্কিন কালার’ ফিল্টার সরাল Shaadi.com]
এদিকে, সংবাদ সংস্থা রয়টার্স সূত্রে খবর, রেমডেসেভির দাম ধার্য করে ফেলেছে সিপলা (Cipla) ও হেটারো (Hetero)। সিপলা ১০০ মিলিগ্রাম রেমডেসেভির দাম রাখছে সর্বোচ্চ ৫০০০ টাকা। আর একই পরিমাণ ওষুধের দাম হেটেরো পাঁচ-ছয় হাজার টাকা রাখছে। প্রসঙ্গত, ফ্যাভিপিরাভির-এর প্রতি ট্যাবলেটের দাম ১০৩ টাকা। সবমিলিয়ে বলাই যায়, বেসরকারি হাসপাতালে করোনা চিকিৎসা মোটেই সস্তা হবে না।
[আরও পড়ুন : অনলাইন ক্লাস করতে না পারায় অভিমানে আত্মঘাতী গুজরাটের কিশোরী]
The post ওষুধের দোকানে মিলবে না করোনার দাওয়াই, জানাল ড্রাগ কন্ট্রোলার appeared first on Sangbad Pratidin.