shono
Advertisement

অন্ধ্র, বাংলার পর সিবিআইয়ে নিষেধাজ্ঞা ছত্তিশগড় সরকারের

সিবিআইকে 'নো এন্ট্রি' ছত্তিশগ়ড়ে।
Posted: 02:58 PM Jan 11, 2019Updated: 02:58 PM Jan 11, 2019

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সিবিআইকে ‘নো এন্ট্রি’ আরেক রাজ্যের। অন্ধ্র, পশ্চিমবঙ্গের পথে হেঁটে অনুমতি ছাড়া রাজ্যে ঢুকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কাজে নিষেধাজ্ঞা জারি করলেন ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিবকে চিঠি লিখে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, এবার থেকে কোনও তদন্তের জন্য সিবিআইকে ছত্তিশগড়ে ঢুকতে হলে, প্রশাসনের অনুমতি নিতে হবে। যদিও কেন বাঘেল প্রশাসনের এই সিদ্ধান্ত, সে বিষয়ে চিঠিতে কোনও উল্লেখ নেই।

Advertisement

২০০১ সালে ছত্তিশগড় সরকার সিবিআইকে তদন্তের জন্য সাধারণ সম্মতি বা জেনারেল কনসেন্ট প্রদান করে। সাধারণত সিবিআইয়ের মতো জাতীয় স্তরে স্বশাসিত সংস্থার কাজে কোনও প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ গ্রাহ্য হয় না। বিশেষত সর্বোচ্চ আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে সিবিআই কাজ করলে, কোনওরকম বাধা দেওয়া হয় না। তাতে তদন্ত প্রক্রিয়াই ব্যাহত হয়। তবে ১৯৪৬ সালের দিল্লি স্পেশ্যাল পুলিশ এস্টাব্লিশমেন্ট অ্যাক্টের ৬ নং ধারা অনুযায়ী, সিবিআইয়ের কাজ নিয়ন্ত্রণ করা আইনসম্মত। সেক্ষেত্রে কেন্দ্রও জোর করে কিছু করতে পারে না। বিজেপি বিরোধী রাজ্যগুলির অভিযোগ, যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোয় আঘাত করে কেন্দ্রীয় সরকার সেসব রাজ্যেই বেছে বেছে সিবিআইকে তদন্তের ভার দিচ্ছে। যা গণতান্ত্রিক দেশে কাম্য নয়।

                                     [লোকসভার রণকৌশল ঠিক করতে বঙ্গ বিজেপির সঙ্গে বৈঠকে মোদি-শাহরা]

এই অভিযোগে ১৯৪৬ সালের আইনটিকে হাতিয়ার করে সবার আগে সিবিআইকে নিজের রাজ্যে তদন্তের ক্ষেত্রে সাধারণ সম্মতি বা জেনারেল কনসেন্ট প্রত্যাহার করেছিলেন অন্ধ্রের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নায়ডু। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে কম তোলপাড় হয়নি। তারপরই একই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্প্রতি সিবিআইয়ের অন্দরেই বিবাদ। দুই শীর্ষ কর্তার বিরুদ্ধে চলছে তদন্ত। ফলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বিশ্বাসযোগ্যতা, নির্ভরশীলতা নিয়ে সংশয়ের অবকাশ তৈরি হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে ছত্তিশগড়ের কংগ্রেস সরকারের এমন সিদ্ধান্ত যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একটা অংশ। এনিয়ে আপাতত দেশের তিনটি রাজ্যে তদন্তের ক্ষেত্রে রাজ্য প্রশাসনের অনুমতি নিতে হবে। তবে ইতিমধ্যেই যেসব মামলা সিবিআইয়ের তদন্তাধীন, সেসব ক্ষেত্রে আলাদা করে রাজ্যের অনুমতির প্রশ্ন ওঠে না। নতুন কোনও মামলার ক্ষেত্রে তা প্রযোজ্য। বাঘেল সরকারের এই সিদ্ধান্তে আবার নতুন করে বিতর্ক তৈরির আশঙ্কা করছেন অনেকে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement