সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সন্দেশখালির হিংসা নিয়ে রাজ্যের উপর চাপ বাড়াতে নয়া কৌশল। এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) চিঠি লিখলেন ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণুদেও সাই। তাঁর দাবি, সন্দেশখালিতে আদিবাসীদের উপর অত্যাচার হচ্ছে। রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে পদক্ষেপ করুক বাংলার সরকার। বিজেপি শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে পালটা কড়া জবাব দিয়েছে তৃণমূলও।
মমতাকে লেখা চিঠিতে ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন, ছত্তিশগড়ের ঘটনা হৃদয়-বিদারক ও বেদনাদায়ক। সন্দেশখালিতে ৫০ জনের বেশি আদিবাসী সম্প্রদায়ের মহিলাকে ধর্ষণ, হেনস্তা হাজার হাজার আদিবাসীর কাছ থেকে জমি কেড়ে নেওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে। জাতীয় তফসিলি কমিশনের দেওয়া রিপোর্ট ভয়ঙ্কর এবং বিভীষিকাময়। একই সঙ্গে তাঁর দাবি, রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে এসবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
[আরও পড়ুন: প্রয়াত দেশের প্রবীণতম সাংসদ, ভুগছিলেন বয়সজনিত অসুখে]
সন্দেশখালি ইস্যুকে লোকসভা নির্বাচন (Lok Sabha 2024) পর্যন্ত জিইয়ে রাখতে চাইছে বিজেপি। এর আগে কেন্দ্রের তরফে একাধিক কমিশন ঘুরে গিয়েছে উপদ্রুত এলাকা। এমনকী বিস্ফোরক সব রিপোর্টও দেওয়া হয়েছে। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বও লাগাতার তৃণমূলের উপর চাপ বাড়ানোর চেষ্টা করছে। ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রীর এই পত্রবোমাও সেই চাপ বাড়ানোর কৌশল বলেই মনে করা হচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই এর পালটা এসেছে তৃণমূলের তরফে।
[আরও পড়ুন: মধ্যবিত্তের পাশে থাকার বার্তা, ন্যূনতম সরকারি হস্তক্ষেপের দাবি মোদির]
তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) বিষ্ণুদেও সাইকে নিজের চরকায় তেল দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। কুণালের প্রশ্ন,”আপনি সন্দেশখালির কিছুই জানেন না। চেনেন না। দয়া করে নিজের চরকায় তেল দিন।” বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর পুরনো মন্তব্য মনে করিয়ে কুণাল বলেন,”আপনার দলের নেতা শুভেন্দু অধিকারী আমাদের রাজ্যের মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদাকে বলেছিলেন, ও জুতোর নিচে থাকে। কই তাঁকে তো ক্ষমা চাইতে বললেন না। ক্ষমতা থাকলে তাঁকে আগে ক্ষমা চাইতে বলুন।”