সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশ স্বাধীন হয়েছে ৭৫ বছর আগে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উদ্যোগে ‘স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসব’ পালিত হচ্ছে। যদিও গরিব, দলিত তথা পিছিয়ে পড়াদের উপরে সমাজের ক্ষমতাশীলদের অত্যচারের কাহিনি থামেনি। এবারের ঘটনা ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh)। সেখানে এক যুবককে চুরির অভিযোগে গাছে উলটো করে ঝুলিয়ে বেধড়ক মারা হল। মারের চোটে যুবক আর্তনাদ করলেও অত্যাচার থামায়নি পাঁচ অভিযুক্ত। সেই ভয়ংকর দৃশ্যের ভিডিও ভাইরাল হয়। ভিডিও সূত্রেই এখনও পর্যন্ত চারজন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অন্য অভিযুক্তের খোঁজ চলছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাটি বিলাসপুর জেলার সিপাত শহরতলির। যে যুবকের উপরে নির্যাতন চালানো হয় তাঁর নাম মহাবীর সূর্যবংশী। সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, মহাবীরকে উলটো করে গাছে ঝুলিয়ে এক নাবালক-সহ পাঁচজন লাঠি দিয়ে মেরেই চলেছে। সে আর্তনাদ করছিল, ক্ষমা চাইছিল, তারপরেও থামছিল না অভিযুক্তরা। আরেকটি ভিডিওতে দেখা গিয়েছে মহাবীরকে মাটিতে ফেলে ক্রমাগত লাঠি দিয়ে মারা হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: উষ্ণতায় ১২২ বছরের রেকর্ড ভাঙল দেশ, হাফ সেঞ্চুরির পথে উত্তর ভারতের তাপমাত্রা]
এই নির্মম নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল হতেই নড়চড়ে বসে পুলিশ। যদিও পুলিশের বক্তব্য, গ্রামের এক মহিলা মহাবীরকে মারধর করা হচ্ছে বলে থানায় খবরও দিয়েছিল। এরপরেই মণীশ নামের মূল অভিযুক্ত-সহ চারজনকে গ্রেপ্তার করে স্থানীয় পুলিশ। কিন্ত কেন এভাবে অত্যাচার চালানো হচ্ছিল মহাবীরের উপরে?
[আরও পড়ুন: ‘কেউ চায় না তাঁর স্বামী আরও তিনটে বিয়ে করুক’, অভিন্ন দেওয়ানি বিধির পক্ষে সওয়াল অসমের মুখ্যমন্ত্রীর]
পুলিশের বক্তব্য, কিছুদিন আগে মণীশ অভিযোগ করেছিল, মহাবীর তার বাড়িতে চুরি করতে ঢুকেছিল। যদিও চুরির আগেই নাকি তাঁকে ধরে ফেলা হয়। ওই অভিযোগে পুলিশের কাছে মহাবীরকে ধরে আনে মণীশ। যদিও পুলিশ সে যাত্রায় মহাবীরকে ছেড়ে দেয়। এদিনের ঘটনার পর মণীশকে গ্রেপ্তার করা হলে সে জানায়, মহাবীর এদিন ফের চুরির চেষ্টা চালায় তার বাড়িতে। তারপরেই তাঁকে ‘শাস্তি’ দেওয়া হয়। অর্থাৎ কিনা শুধুমাত্র চুরির চেষ্টার দায়ে, সন্দেহের বশে বর্বর অত্যাচার চালানো হয় মহাবীরের উপরে। যে দেখে নিন্দায় সরব হয়েছে নেটিজেনরা।