সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার (LAC) অবস্থান ও রূপরেখা একতরফাভাবে বদলাতে চাইছে চিন। কলকাতায় একটি অনুষ্ঠানে এমনটাই দাবি করেন সেনা সর্বাধিনায়ক (chief of defence staff) বিপিন রওয়াত।
[আরও পড়ুন: দাম অনেকটাই বেশি, ভারতের বাজারে ফাইজারের টিকার ছাড়পত্র পাওয়া নিয়ে ধন্দ]
ভারতের ভূমি দখলে লালফৌজের ষড়যন্ত্র যে সাউথ ব্লকের কাছে গোপন নয় তা স্পষ্ট করে এদিন রাওয়াত বলেন, “করোনা আবহে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার অবস্থান ও রূপরেখা একতরফাভাবে বদলাতে চাইছে চিন। ফলে পরিস্থিতির দাবি মোতাবেক স্থলে, জলে, আকাশে সামরিকভাবে প্রস্তুত থাকা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় হয়ে পড়েছে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, দেশের সীমানা রক্ষায় চেষ্টায় ত্রুটি রাখবে না সেনাবাহিনী।” বিশ্লেষকদের মতে, লাদাখে চিনের হাত থেকে জমি উদ্ধারে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছে সাউথ ব্লক। সামরিক ও কূটনৈতিক স্তরে আলোচনা চললেও, লালফৌজের দখলদারিকে মান্যতা দিয়ে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার অবস্থান বদলাতে নয়াদিল্লির উপর চাপ বাড়াচ্ছে বেজিং। তবে নিজের অবস্থান থেকে নড়তে নারাজ ভারত। সীমান্তে আগ্রাসনের যে কড়া জবাব দিয়েছে ভারতীয় ফৌজ তেমনটা হবে বলে আশা করেনি চিন। ফলে মান খুইয়ে শি জিনপিংও কিছুটা বেকায়দায়। তাই এবার দুই পড়শির মধ্যে কূটনৈতিক টানাপোড়েন আরও তীব্র হয়েছে। বিপিন রাওয়াতের মন্তব্য এদিন চিনের প্রতি প্রচ্ছন হুমকি বলেই মনে করছেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের একাংশ।
উল্লেখ্য, লাদাখে টানা ১৫ দিন যুদ্ধ চালাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে গোলাবারুদ, বুলেট, গ্রেনেড, ল্যান্ডমাইন ও অ্যান্টি ট্যাঙ্ক মিসাইল-সহ প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র মজুত করছে ভারতীয় সেনা। বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদ পূর্ব লাদাখের ভারতীয় সেনার ফরওয়ার্ড পোস্টগুলির খুব কাছে গোপন অস্ত্রভাণ্ডারে মজুত করা হচ্ছে। চিনের বিরুদ্ধে যে কোনও সময় বড় সংঘাত হতে পারে ধরে নিয়েই এই অস্ত্র মজুত করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, কাশ্মীরে এবং লাদাখে মোতায়েন সেনার এখনকার চাহিদা মেনে গোলাবারুদ কেনার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার দ্রুত ৫০ হাজার কোটি টাকা মঞ্জুর করেছে। সেনাকে এই পরিমাণ অর্থ নিজেদের মতো খরচ করার স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে। দেশি এবং বিদেশি অর্ডিন্যান্স কারখানাগুলি থেকে এই বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদ, বুলেট, গ্রেনেড কেনা বা আমদানি করা হবে।