স্টাফ রিপোর্টার: শিশুপাচারে জড়িয়েছে একের পর এক ডাক্তার ও নার্সিংহোমের নাম৷ ইতিমধ্যে সল্টলেক ও বেহালার দুই নামী চিকিৎসক গ্রেফতার হয়েছেন৷ বৃহস্পতিবার দুপুরে সিআইডির এক শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন, আরও তিনজন চিকিৎসক সিআইডির নজরে আছেন৷ শিশুপাচার চক্রের সঙ্গে তাঁদের যোগসূত্র রয়েছে৷ তবে কতটা পাচার কাজে সাহায্য করেছেন ওই চিকিৎসকরা তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে৷ ঘটনায় খুনের মামলা রুজু করেছে সিআইডি৷
লোক দেখানো সমাজসেবার আড়ালে সদ্যোজাতদের পাচারে জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে বেশ কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার বিরুদ্ধেও৷ সিআইডি সূত্রে খবর, এই চক্রের শিকড় অনেক দূর পর্যন্ত ছড়িয়ে৷ তাই এবার এই পাচারচক্রকে মূল থেকে উপড়ে ফেলতে তৎপর হয়েছে রাজ্য সরকার৷ স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে প্রতিটি জেলার জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের কাছে নির্দেশ পাঠানো হয়েছে৷ বেআইনি নার্সিংহোম-সহ অনমোদন ছাড়া স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলি খুঁজে তাদের বিরুদ্ধে নিতে হবে আইনানুগ ব্যবস্থা৷ এর পাশাপাশি লাইসেন্সপ্রাপ্ত নার্সিংহোমগুলির উপর শুরু হবে বাড়তি নজরদারি৷ জেলা প্রশাসন, স্বাস্থ্য দফতর ও জেলা পুলিশের সমন্বয়ে চলবে এই অভিযান৷ বৃহস্পতিবার দুপুরেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুরের চৌহাটি ও নাটাগাছিতে
পৃথক দু’টি হোমে অভিযান চালায় জেলা প্রশাসন৷ স্বয়ং জেলাশাসক পি বি সালিম নিঃশব্দে দুপুর দু’টো নাগাদ প্রথমে চৌহাটিতে গিয়ে হাজির হয়েছিলেন৷
বুধবার বিধাননগর থেকে স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. দিলীপ ঘোষ এবং বেহালার পর্ণশ্রী থেকে ডা. নিত্যানন্দ বিশ্বাসকে গ্রেফতার করেন সিআইডির গোয়েন্দারা৷ এই নিয়ে শিশুপাচার কাণ্ডে মোট গ্রেফতারের সংখ্যা ২০৷ ধৃতদের মধ্যে রয়েছেন পাঁচজন চিকিৎসক৷ সিআইডি সূত্রে খবর, খাস কলকাতার আরও তিনজন এখনও সিআইডি-র স্ক্যানারের তলায় রয়েছেন৷ শিশুপাচারের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত রয়েছেন তাঁরা৷ তদন্তে এমনটাই জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা৷ উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা-সহ কলকাতাকে সর্তক করেছে স্বরাষ্ট্র দফতর৷