সুব্রত বিশ্বাস: বেলুড়ে বেপরোয়া টোটোর ধাক্কায় গুরুতর জখম একটি শিশু। শিশুটি নিয়ে হাসপাতালে ছুটলেন পরিবারের লোকেরা। কিন্তু, পরিকাঠামো না থাকার কারণ দেখিয়ে ফিরিয়ে দিল তিন-তিনটি হাসপাতাল! শেষপর্যন্ত কলকাতার এনআরএস হাসপাতালে কার্যত বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু হল বছর ছয়েকের একতা শর্মার। এদিকে, টোটো ধাক্কায় শিশু মৃত্যুর ঘটনা পর, বেলুড়ের ঠাকুরাণ এলাকায় বাইক, সাইকেল ও রিক্সা ছাড়া সব ধরনের গাড়ি চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে হাওড়া পুরসভা।
[ত্রিকোণ প্রেমের জেরেই কি খুন সুস্মিতা? পুলিশি তদন্তে উঠে এল বিস্ফোরক তথ্য]
ঘটনাটি ঠিক কী? বুধবার হাওড়ার বেলুড়ের ঠাকুরাণ এলাকায় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ছয় বছরের একতা শর্মা। একটি টোটো ধাক্কা মারে তাকে। রাস্তায় ছিটকে পড়ে একতা। পাঁজরের তিন-চারটি হাড় ভেঙে যায়। পরিবারের লোকেরা জানিয়েছেন, গুরুতর জখম একতাকে প্রথমে হাওড়ার জয়সোয়াল হাসপাতালে নিয়ে যান তাঁরা। কিন্তু, পরিকাঠামোর দোহাই দিয়ে শিশুটির প্রাথমিক চিকিৎসা পর্যন্ত করেননি হাসপাতালে চিকিৎসকরা। তড়িঘড়ি শিশুটিকে রেফার করা দেওয়া হয় হাওড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। পরিবারের লোকেদের অভিযোগ, সেখানে কোনও চিকিৎসা হয়নি। সেখানকার চিকিৎসকদের পরামর্শে এবার শিশুটিকে নিয়ে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে ও হাসপাতালে যান পরিবারের লোকেরা। কিন্তু, সেখানে একই ছবি। শিশুটির এক আত্মীয় জানিয়েছেন, মেডিক্যাল কলেজের এক চিকিৎসক বলেন, শিশুটির হাড় জোড়া লাগানো সম্ভব। কিন্তু, হাসপাতালের বেহাল পরিকাঠামোর কারণে ঝুঁকি নেওয়া যাবে না। তাই শিশুটিকে এনআরএস হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
[বাবা খুনে ছেলের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড]
পরিবারের লোকেদের দাবি, বুধবার গভীর সন্ধ্যায় যখন একতা শর্মাকে এনআরএস হাসপাতালে ভরতি করা হয়, তখন তার শারীরিক অবস্থা রীতিমতো সংকটজনক। চিকিৎসার আর কোনও সুযোগই পাওয়া যায়নি। বুকের এক্স-রে করাতে নিয়ে যাওয়ার পথেই মারা যায় সে। ঘটনায় হাসপাতালের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন মৃতের পরিবারের লোকেরা। তবে এই ঘটনার পর নড়েচড়ে বসেছে হাওড়া পুরসভা। স্থানীয় কাউন্সিলর সীমা ভৌমিক জানিয়েছেন, বেলুড়ের ঠাকুরাণ এলাকা টোটো তো নয়ই, বাইক, সাইকেল ও রিক্সা ছাড়া আর কোনও ধরণের গাড়ি নিয়ে যাতায়াত করা যাবে না।
[বেলেল্লাপনায় ছাড় নেই মহিলাদেরও, বড়দিন-বর্ষবরণে সক্রিয় পুলিশ]
The post টোটোয় ধাক্কায় গুরুতর জখম শিশু, ৪ হাসপাতাল ঘুরে বেঘোরে মৃত্যু appeared first on Sangbad Pratidin.