সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় আবার উত্তেজনা তৈরি করে প্যাংগং হ্রদে সেতু তৈরি করছে চিনা। এর ফলে ওই হ্রদের উত্তর ও দক্ষিণ পাড়ে দ্রুত সেনা মোতায়েন করতে পারবে লালফৌজ বলে খবর।
[আরও পড়ুন: কাশ্মীরে বানচাল অনুপ্রবেশের ছক, সীমান্তরক্ষীদের গুলিতে খতম পাকিস্তানি জঙ্গি]
২০২০ সাল থেকেই পূর্ব লাদাখে (Eastern Ladakh) মুখোমুখি ভারত ও চিনের সেনাবাহিনী। গালওয়ান উপত্যকায় সংঘর্ষের পর পরিস্থিতি সবচেয়ে জটিল হয়ে ওঠে প্যাংগং হ্রদ সংলগ্ন ফিঙ্গার এলাকাগুলিতে। সেখানেই অল্পের জন্য যুদ্ধের হাত থেকে রক্ষা পায় পরমাণু শক্তিধর দুই দেশ। তবে লাগাতার আলোচনার মাধ্যমে গতবছরের ফেব্রুয়ারি মাসে প্যাংগং (Pangong) থেকে ফৌজ সরিয়ে নিয়েছে দুই দেশ। এবার গোটা পূর্ব লাদাখ জুড়ে সেনা প্রত্যাহারের উদ্দেশে আলোচনা চলছে দুই দেশের মধ্যে। এহেন সময়ে পরিস্থিতি ঘোরাল করে প্রকাশ্যে এসেছে লালফৌজের উদ্বেগজনক কার্যকলাপ।
জানা গিয়েছে, প্যাংগং হ্রদের উত্তর পাড়ে ‘ফিংগার ৮’ থেকে মাত্র ২০ কিলোমিটার দূরে ব্রিজটি তৈরি করছে চিন। দুই দেশের মধ্যে ফিংগার ৮-কেই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বলে মনে করে ভারত। এবার নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে চিনের এহেন কার্যকলাপে রীতিমতো সিঁদুরে মেঘ দেখছে নিরাপত্তামহল।
উল্লেখ্য, ২০২০ থেকে পূর্ব লাদাখে (Ladakh) মুখোমুখি ভারত ও চিনের সেনাবাহিনী। গালওয়ান উপত্যকায় রক্তাক্ত লড়াইয়ের পর থেকেই কার্যত বারুদের স্তূপে পরিণত হয় প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (LAC)। এহেন পরিস্থিতিতে বেশ কয়েকদফা আলোচনার পর সংঘর্ষের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু প্যাংগং হ্রদের বিতর্কিত অঞ্চল থেকেসেনা প্রত্যাহার শুরু করে দুই দেশ। ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং জানান, সেনা সরানো নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে সমঝোতা হয়েছে। সংঘাতের কেন্দ্রবিন্দু প্যাংগং হ্রদের উত্তর ও দক্ষিণে সেনাবহর কমানো হচ্ছে। প্যাংগং হ্রদের ফিঙ্গার ৮ থেকে সেনা প্রত্যাহার করবে চিন। ফিঙ্গার ৩ পর্যন্ত থাকবে ভারতীয় বাহিনী। তবে এক ইঞ্চি জমিও ছাড়বে না ভারত। গোটা প্রক্রিয়ার উপর আকাশপথে নজরদারি চালানো হবে। প্যাংগংয়ে সমরসজ্জা কমলে লাদাখে একাধিক দফায় অন্য ফরওয়ার্ড পোস্ট থেকে জওয়ানদের সরানো হবে।