অর্ণব আইচ: কে টু কে। কলকাতা থেকে কুনমিংয়ের বিমান পরিষেবা চালু করতে মরিয়া চিন। কলকাতার চিনা দূতাবাসের সূত্র জানিয়েছে, ভারত ও চিনের এই দুই শহরে মালবাহী বিমান চালু হলেও যাত্রীবাহী বিমান করোনা পরিস্থিতির পর থেকেই বন্ধ। সীমান্ত সংঘাতের আবহেও বিমান পরিষেবা নিয়ে বেজিংয়ের উদ্যোগ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।
বুধবার চিনের কমিউনিস্ট পার্টির ২০তম ন্যাশনাল কংগ্রেস উপলক্ষে কলকাতায় একটি অনুষ্ঠানে কলকাতার চিনা কনসাল জেনারেল ঝা লিইউ জানান, কলকাতার বহু ছাত্রছাত্রী চিনের বিভিন্ন জায়গা, বিশেষ করে কুনমিংয়ে ডাক্তারি পড়েন। তাঁরা চান চিনে পড়ুয়ারা গিয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং ও ম্যানেজমেন্টও পড়ুন। করোনা পরিস্থিতিতে কলকাতায় ফিরে আসার পর পড়ুয়ারা ফের চিনে যেতে চান। সম্প্রতি দূতাবাসে ছাত্রছাত্রীরা পাসপোর্ট জমাও দিয়েছেন। ব্যবসায়ীরাও ভারত, এমনকী, কলকাতার গেটওয়ে ইউনান প্রদেশ ও তার রাজধানী কুনমিংয়ে যেতে চান। তাঁরা রাজনৈতিক নেতা ও ব্যক্তিত্বদেরও সবসময় আমন্ত্রণ জানান। কিন্তু কুনমিংয়ের বিমান চালু না হওয়ায় বহু কাজে বাধা পড়ছে। তাই দূতাবাসের পক্ষ থেকে বিভিন্ন মহলে আলোচনা ও বৈঠক করা হচ্ছে, যাতে খুব তাড়াতাড়ি দুই শহরের বিমান পরিষেবা চালু হয়।
[আরও পড়ুন: গোমাংস বিক্রির অভিযোগ, অন্তর্বাস পরিয়ে চাবুক মেরে হাঁটানো হল দুই ব্যক্তিকে]
চিনা কনসাল জেনারেল জানান, শি জিংপিনকে সমর্থন করেন চিনের ৯০ শতাংশ মানুষ। আগামী ২০৩৫ সালের মধ্যে চিন সমাজতন্ত্র-সহ বিভিন্ন খাতে অনেক আধুনিক হবে। ২০৪৯ সালের মধ্যে চিন অত্যন্ত ক্ষমতাশালী দেশ হবে। সবমিলিয়ে কমিউনিস্ট দেশটির উপর জিনপিংয়ের রাশ যে অত্যন্ত মজবুত হয়েছে তা স্পষ্ট। এবং সীমান্তে সংঘাত থাকলেও ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যে আগ্রহী পড়শি দেশটি তা স্পষ্ট।
উল্লেখ্য, প্রায় দু’বছর পরে কোভিডের প্রকোপ কাটিয়ে পড়ুয়াদের ভিসা দিওয়া শুরু করেছে চিন (China)। কিন্তু গত সেপ্টেম্বর মাসে সেদেশে পড়তে যাওয়ার আগে মেডিক্যাল পড়ুয়াদের জন্য বিশেষ নির্দেশিকা জারি করে ভারত। চিনে মেডিক্যাল পড়তে গেলে কী কী সমস্যার মুখে পড়তে হবে ভারতীয় পড়ুয়াদের, সেই নিয়ে বিস্তারিত একটি বিবৃতি জারি করা হয়। সেখানে বলা হয়, চিনে পড়াশোনায় পাসের হার খুব কম। সেই সঙ্গে ডাক্তারি পড়তে গেলে বাধ্যতামূলক ভাবে চিনা ভাষা শিখতে হবে। বিদেশি ডিগ্রি নিয়ে ভারতে ডাক্তারি করতে গেলে বিশেষ পরীক্ষায় বসতে হবে, যেখানে সাফল্যের হার খুব কম।