shono
Advertisement

সীমান্তে লালফৌজের জমায়েত নিয়ে ‘ব্যাখ্যা’চিনের, ফাঁদে পা দিতে নারাজ ভারত

বেজিংয়ের অভিসন্ধি নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকরের।
Posted: 03:49 PM Dec 09, 2020Updated: 03:49 PM Dec 09, 2020

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লাদাখ সীমান্তে ফৌজ মোতায়েন নিয়ে পাঁচরকমের ব্যাখ্যা দিচ্ছে চিন (China)। গালওয়ান সংঘর্ষের জেরে দুই দেশের সম্পর্ক গুরুতর আঘাত পেয়েছে। বুধবার লালফৌজের বিরুদ্ধে তোপ দেগে এমনটাই বললেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ভারতীয় বোমায় দাউদাউ করে জ্বলেছিল করাচি বন্দর, ৭১-এর বিভীষিকা আজও ভোলেনি পাকিস্তান]

লাদাখ (Ladakh) সীমান্তে চিনের আগ্রাসন ও ভারতের প্রত্যুত্তরে পরিস্থিতি যে কতটা অগ্নিগর্ভ তা এদিন সাফ করে দেন জয়শংকর। বেশ কয়েকদফা সামরিক ও কূটনৈতিক আলোচনার পরও বেজিংয়ের অভিসন্ধি নিয়ে প্রশ্ন তুলে জয়শংকর জানান, সীমান্তে প্রচুর পরিমাণে ফৌজ মোতায়েন করার পাঁচরকমের ব্যাখ্যা দিচ্ছে চিন। এর ফলে দুই দেশের সম্পর্ক আরও খারাপ জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার ‘Lowy Institute’-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কোনও রাখঢাক না করেই বিদেশমন্ত্রী জয়শংকর বলেন, “বিগত ৩০ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে বর্তমানে চিনের সঙ্গে সম্পর্কের সবচেয়ে খারাপ পর্ব চলছে। ১৯৭৫ সালের পর গালওয়ান সীমান্তে সংঘর্ষে ২০ জন ভারতীয় সৈনিকের মৃত্যু হয়েছে। লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর হাজার হাজার সেনা মোতায়েন করেছে চিন। তারা যুদ্ধের জন্য তৈরি হয়েই এসেছে। এর ফলে স্বভাবিকভাববেই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক প্রচণ্ড ধাক্কা খেয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “চিন চুক্তি মানছে না। এক্ষেত্রে দুই পক্ষের মধ্যে জিগাযোগ স্থাপন করা বড় বিষয় নয়। ব্যাপার হচ্ছে চিন দ্বিপাক্ষিক চুক্তি লঙ্ঘন করছে।”

উল্লেখ্য, বিগত প্রায় ৮ মাস ধরে লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে ভারত ও চিনের সেনা। যে কোনও মুহূর্তে তৈরি হতে পারে যুদ্ধের পরিস্থিতি। সীমান্তে শান্তি ফেরাতে দুই দেশের কোর কমান্ডার স্তরের আট দফার বৈঠক শেষেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার লক্ষণ নেই। তাই সতর্ক রয়েছে ভারতও। শীতে জবুথবু লাদাখে এখন তাপমাত্রা নেমেছে হিমাঙ্কের নিচে। বরফের পুরু চাদরে ঢাকছে লাদাখের মাটি। এমন আবহে পাহাড়ি এলাকার বদলে সমুদ্রপথে হামলা চালাতে পারে চিন। সে কথা মাথায় রেখেই এবার জলপথে রণসজ্জা বাড়াচ্ছে ভারতীয় নৌসেনা (Indian Navy)। ইতিমধ্যে ভারত মহাসাগরে রণতরী মোতায়েন করা হয়েছে। এমনকী, বিশেষ অ্যাম্ফিবিয়াস বাহিনী তৈরির পথে হাঁটছে তারা।

[আরও পড়ুন: নিরাপত্তারক্ষীদের চিন্তা বাড়িয়ে ত্রিপুরায় ফের মাথা তুলছে সন্ত্রাসবাদীরা, উদ্বিগ্ন প্রশাসন]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement