সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মালদ্বীপের সঙ্গে সম্প্রতি ভারতের সম্পর্কের চূড়ান্ত অবনতি হয়েছে। আর সেই অবনতির পিছনে উঠে আসছে যে নাম তা দ্বীপরাষ্ট্রের ‘চিনপন্থী’ প্রেসিডেন্ট মুইজ্জুর (President Muizzu)। তাঁর মসনদে বসার পর থেকেই পরিস্থিতির অবনতি হতে শুরু করে। সম্প্রতি চিন সফরে গিয়েছিলেন তিনি। এবার মুইজ্জুর মুখে ‘বন্ধু’র প্রশংসা!
চিন-ঘেঁষা মুইজ্জু জানিয়েছেন, ১৯৭২ সালে মালদ্বীপের সঙ্গে বেজিংয়ের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক তৈরি হওয়ার পর থেকেই নাকি সেদেশের উন্নয়নের জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে চিন। সেই সঙ্গে তিনি মনে করিয়ে দিয়েছেন, দুই দেশই পরস্পরকে সম্মান করে। জিনপিংয়ের দেশ মালদ্বীপের সার্বভৌমত্বকে সম্মান করে বলেও দাবি মুইজ্জুর। তাঁর এহেন মন্তব্যকে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
শুক্রবারই ভারতের ৭৫তম সাধারণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে আগামী দিনে ভারতের উন্নতি এবং অগ্রগতি কামনা করেন মুইজ্জু। মালদ্বীপ-ভারতের কয়েক শতাব্দীর বন্ধুত্বের উল্লেখ করে জানান, দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্ব, পারস্পরিক সম্মানের সম্পর্ক রয়েছে। কিন্তু তাঁর এহেন মন্তব্য যে অনেকটাই নিজের দেশে বিরোধীদের চাপের মুখে কার্যতই ‘ঢোঁক গিলে’ তা পরিষ্কার হয়ে গেল এদিন চিনকেও ‘বন্ধু’ বলায়।
[আরও পড়ুন: ‘ইন্ডিয়ার আর্কিটেক্ট নীতীশ, কো-আর্কিটেক্ট মমতা’, জটেও জোট নিয়ে আশাবাদী কংগ্রেস]
এমনিতে নয়াদিল্লির সঙ্গে সম্পর্কের অবনতিতে ওঠা ‘বয়কট মালদ্বীপ’ ডাকে বেকায়দায় মুইজ্জু। বিরোধীদের চাপও বাড়ছে। তবুও তাঁর চিন-প্রীতি যে কমবার নয়, সে ব্যাপারে নিশ্চিত আন্তর্জাতিক মহল।