সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আবারও উসকে উঠল ডোকলাম বিতর্ক। আর এবার এই বিতর্ক উসকে তুললেন মার্কিন বিদেশ মন্ত্রকের প্রিন্সিপাল ডেপুটি অ্যাসিসট্যান্ট সেক্রেটরি অফ স্টেট ফর সাউথ অ্যান্ড সেন্ট্রাল এশিয়া অ্যালিস ওয়েলস৷ মার্কিন কংগ্রেসে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, ভারত-ভুটান ও চিনের মধ্যে থাকা বিতর্কিত অংশ ডোকলামে আবার অনুপ্রবেশ শুরু করেছে চিনের সামরিক বাহিনী। সকলের চোখের অলক্ষ্যেই সেখানে নিজেদের অবস্থান মজবুত করছে বেজিং। ভারত ও ভুটানের এই বিষয়ে সজাগ হওয়া প্রয়োজন। মার্কিন আধিকারিকের এই বক্তব্যের পরেই ডোকলাম নিয়ে রাজ্যসভায় বিবৃতি দিলেন বিদেশমন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী ভি কে সিং। অ্যালিস ওয়েলসের আশঙ্কা উড়িয়ে তিনি জানালেন, ডোকলাম নিয়ে চিন্তার কিছু নেই সেখানে পরিস্থিতি একদম স্বাভাবিক রয়েছে। মন্ত্রীর সুরেই ডোকলাম বিতর্কে রাশ টেনেছেন বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রভিশ কুমারও।
[ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক রেখেই নয়া জমানা শুরুর ইঙ্গিত ইমরানের]
প্রসঙ্গত, চিন ও ভুটানের সীমান্তবর্তি এলাকা ডোকলামে বেআইনি ভাবে চিনা সেনার রাস্তা নির্মাণ নিয়ে গত বছর ভারত ও ভুটানের সঙ্গে সমস্যা শুরু হয়েছিল চিনের৷ দীর্ঘ ৭৩ দিন দুই দেশের সেনার মধ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল নয়াদিল্লি ও বেজিংয়ের মধ্যে৷ রীতিমতো শর্ত দিয়ে চিন জানিয়েছিল বিতর্কিত উপত্যকা থেকে ভারত সেনা সরালে তবেই তারা সেনা সরাবে৷ আর প্রথম থেকেই এই পরিস্থিতির জন্য চিনের চোখে মূলচক্রী হয়ে উঠেছিলেন ভারতের নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল। এমনকি চিনের সরকারি সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমস তা প্রকাশ্যে ঘোষণা করেছিল৷
[স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হলে বুদ্ধিজীবীদের গুলি করার নির্দেশ দিতাম, বিস্ফোরক বিজেপি নেতা]
পরে অবশ্য আলোচনার মাধ্যমেই সমস্যার সমাধান ঘটে৷ ডোকলাম থেকে সেনা পিছিয়ে নেয় চিন৷ একই ভাবে বন্ধুত্বের বার্তা দিয়ে সেদেশে গিয়ে চিনা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ঘরোয়া বৈঠক করে আসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ দুই দেশের প্রশাসনিকর আধিকারিকদের মধ্যেও কথাবার্তা হয়৷ বাণিজ্যিক সম্পর্ক মজবুত করতেও সচেষ্ট হয় দু’দেশ৷ তবে আবারও নতুন করে ডোকলাম সমস্যা মাথাচাড়া দিয়ে উঠলে দু’দেশের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক আরও তলানিতে ঠেকতে পারে৷
The post ডোকলামে ফের তৎপর হচ্ছে চিন, মার্কিন রিপোর্টেও উদাসীন নয়াদিল্লি appeared first on Sangbad Pratidin.