shono
Advertisement

উইঘুর সংস্কৃতিকে নির্মূলের ছক! ইমাম ও মুসলিম নেতাদের বন্দি করছে চিন

৬০০টির বেশি মসজিদ ভেঙে ফেলেছে শি জিনপিংয়ের প্রশাসন।
Posted: 04:45 PM Nov 23, 2020Updated: 04:49 PM Nov 23, 2020

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মায়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলিমদের উপর অত্যাচার হলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ বিক্ষোভ দেখায়। ভারত বা ফ্রান্সে মুসলিম সম্প্রদায়ের উপর অত্যাচার হলেও চিৎকার জুড়ে দেয় পাকিস্তান-সহ অনেক দেশ। কিন্তু, তাদেরই চিনের শিনজিয়াং প্রদেশে উইঘুরদের উপর অত্যাচার হলে কোনও প্রতিবাদ করতে দেখা যায় না। আসলে ড্রাগনের নেকনজরে পড়তে চায় না কেউই। তার ফলে ক্রমশ দুর্বিষহ হয়ে উঠছে শিনজিয়াং প্রদেশে বসবাসকারী উইঘুর মুসলিম (Uighur Muslim)-দের জীবন। সম্প্রতি তাঁদের সংস্কৃতিকে সম্পূর্ণ নির্মূল করতে মসজিদের ইমাম ও মুসলিম নেতাদের চিন (China) বন্দি করছে বলে অভিযোগ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার।

Advertisement

সম্প্রতি শিনজিয়াং প্রদেশ থেকে নির্বাসিত একজন উইঘুর ভাষাতত্ত্ববিদ এই বিষয়ে মুখ খুলেছিলেন বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের কাছে। সেখানে চিনের শি জিনপিং প্রশাসনের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই শিনজিয়াং প্রদেশে বসবাসকারী উইঘুর মুসলিমদের উপর অত্যাচার চালাচ্ছে চিনের সরকার। তাঁদের বন্দিশিবিরে আটকে রাখার পাশাপাশি ৬০০টির বেশি মসজিদ ভেঙে ফেলা হয়েছে। ইসলাম ধর্মকে অপমান করার জন্য কিছু মসজিদে সুলভ শৌচালয়ও খুলেছে।

[আরও পড়ুন: ৯০ শতাংশ কার্যকর তাদের করোনা ভ্যাকসিন, তৃতীয় দফা ট্রায়ালের পর দাবি অক্সফোর্ডের]

এর পাশাপাশি উইঘুরদের নিজস্ব ভাষার পরিবর্তে স্থানীয় মান্ডারিন ভাষা শিখতে বাধ্য করা হচ্ছে। তাঁদের বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থও সেই ভাষাতে লিখতে বাধ্য করা হচ্ছে। এমনকী কারও কাছে কোরান থাকলে তাঁকে প্রচণ্ড অত্যাচার করা হচ্ছে। এতেও কোনও কাজ হচ্ছে না দেখে শেষপর্যন্ত চিনের সরকার উইঘুর সম্প্রদায়ের মুসলিম নেতা ও ইমামদের গ্রেপ্তার করে বন্দিশিবিরে পাঠানো হচ্ছে। এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে কেউ মরতেও ভয় পাচ্ছেন। কারণ তাঁদের শেষকৃত্যে অংশ নেওয়ার মতো কোনও ইমাম নেই। এখনও পর্যন্ত মোট ৬১৩ জন ইমামকে গ্রেপ্তার করে বন্দিশিবিরে রাখা হয়েছে।

[আরও পড়ুন: করোনায় আক্রান্ত হয়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রয়াত মহাত্মা গান্ধীর প্রপৌত্র]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement