সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চলতি সপ্তাহেই তিনদিনের আমেরিকা সফরে যাচ্ছেন চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং উই। বৈঠক করবেন মার্কিন বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে। গত মাসেই বিশ্বমঞ্চ থেকেই নাম না করে আমেরিকাকে এক হাত নিয়ে ঠান্ডা লড়াইয়ের হুঙ্কার দিয়েছিল চিন। দুদেশের মধ্যে উত্তেজনার পারদও সপ্তমে। এই আবহে চিনা বিদেশমন্ত্রীর ওয়াশিংটনে যাওয়া যথেষ্ট তাৎপর্য বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
পিটিআই সূত্রে খবর, সোমবার মার্কিন বিদেশ দপ্তরের তরফে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, আগামী ২৬ থেকে ২৮ অক্টোবর সফরে আসবেন চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং উই (Wang Yi)। বৈঠকে বসবেন মার্কিন বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে। এই দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে দুজনের মধ্যে বিভিন্ন আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সমস্যা নিয়ে আলোচনা হবে। আমেরিকা ও চিনের মধ্যে দায়িত্বপূর্ণ সম্পর্ক ও যোগাযোগের মাধ্যম আরও বিস্তৃত করার বিষয়েও আলোচনা হবে।
[আরও পড়ুন: হৃদরোগে আক্রান্ত রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন! ‘বাজে গুজব’ সাফ জানাল ক্রেমলিন]
বলে রাখা ভালো, চলতি মাসের শুরুতে রয়টার্স সূত্রে খবর মিলেছিল, আমেরিকার (US) সংবাদপত্র দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট তাদের এক রিপোর্টে দাবি করেছে, আগামী মাসে সানফ্রান্সিসকোতে বৈঠকে বসতে পারেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (Joe Biden) ও চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং (Xi Jinping)। চলছে তারই পরিকল্পনা। সবুজ সংকেত রয়েছে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের সাক্ষাতের। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শীর্ষ মার্কিন আধিকারিকও এমনটাই জানিয়েছেন। এই বিষয়ে আমেরিকার চিনা দূতাবাসের পক্ষ থেকে স্পষ্টভাবে কিছু জানানো হয়নি। দূতাবাসের মুখপাত্র জানিয়েছেন, “দুদেশের মধ্যে যোগাযোগ রয়েছে। তবে সহযোগিতা বাড়ানোর জন্য বিশ্বাসের জায়গা আরও প্রসারিত করতে হবে।” এই রিপোর্ট নিয়ে ও চিনের প্রেসিডেন্টের আমেরিকা সফর নিয়ে এখনও পর্যন্ত হোয়াইট হাউসের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।
উল্লেখ্য, গত সেপ্টেম্বরে আসিয়ানের মঞ্চ থেকে নাম না করে আমেরিকাকে ঠান্ডা লড়াইয়ের হুঁশিয়ারি দিয়েছিল চিন (China)। গত জুন মাসে ওয়াশিংটনের আকাশে দেখা গিয়েছিল চিনের ‘গুপ্তচর’বেলুন। সেই বেলুনকে গুলি করে নামানো হয়। পরে জানা যায়, সেই চিনা বেলুন মার্কিন প্রযুক্তি ব্যবহার করেই আমেরিকার উপরে নজরদারি চালাতে চেষ্টা করেছিল। এছাড়াও দক্ষিণ চিন সাগর, তাইওয়ানের মতো একাধিক বিষয় নিয়ে দুদেশের মধ্যে সংঘাত তুঙ্গে। সব মিলিয়ে ওয়াশিংটন ও বেজিংয়ের সম্পর্ক যথেষ্ট জটিল পর্যায়ে রয়েছে। ফলে চিনা বিদেশমন্ত্রীর এই সফরে দুদেশের সম্পর্কের কোনও উন্নতি হয় কি না সেদিকেই এখন নজর কূটনীতিকদের।