সুব্রত বিশ্বাস: দেশজুড়ে হু হু করছে করোনা সংক্রমণ। একর পর এক আক্রান্ত হচ্ছেন রেলের কর্মীরাও। কিন্তু এহেন সংকটকালেও একশো শতাংশ কর্মীকে কাজে লাগিয়ে সফলতার নজির গড়ল চিত্তরঞ্জন লোকোমোটিভ ওয়ার্কস। মাস দেড়েকের মধ্যেই সংস্থাটি তৈরি করে ফেলেছে ৫১টি বিদ্যুৎচালিত অত্যাধুনিক রেল ইঞ্জিন।
[আরও পড়ুন: বাড়িতে খাবার শেষ, পরিজন করোনা আক্রান্ত হওয়ায় বাজারে যেতে পারছেন না সুস্থরাও]
নয়া ইঞ্জিনগুলিতে ব্যবহার করা হয়েছে ‘ইন্ট্রিগ্রেটেড গেট বাইপোলার টেকনোলজি’ ও ‘থ্রি ফেজ টেকনোলজি’। গড়ে প্রতিমাসে ২৫ হাজার ভোল্টের এমন চল্লিশটি ইঞ্জিন তৈরি হয় চিত্তরঞ্জনে রেলের কারখানায়। লকডাউনে উৎপাদন বন্ধ থাকায় অর্থবর্ষের লক্ষ্যমাত্রা ৩৯০টি ইঞ্জিন উৎপাদন নিয়ে চিন্তায় ছিল রেল। তবে দেড়মাসে ৫১টি ইঞ্জিন উৎপাদনের আসার আলো দেখা গিয়েছে। সিএলডব্লুর জনসংযোগ আধিকারিক মন্তার সিং বলেন, “দেড় মাস যে পরিমাণে ইঞ্জিন উৎপাদন হয়েছে তাতে আমরা লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে বলে।”
রেল সূত্রে খবর কারখানায় উৎপাদনের লক্ষ্যপুরণে সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা হয়ে উঠেছে করোনা মহামারী। সংক্রমণ ঠেকাতে লকডাউন ঘোষণা হওয়ায় বেশ কয়েকদিন কাজ বন্ধ ছিল। গত জুন মাস থেকে কাজ শুরু হলেও উৎপাদনের ক্ষেত্রে জরুরি কাঁচামাল জোগাড় করা কঠিন হয়ে পড়েছিল। কারণ, সে সব মাল সড়ক পথে কারখানায় আসে। তবে এহেন পরিস্থিতিতেও একশো শতাংশ কর্মী সক্রিয়তা দেখানোয় এই সফলতা হাসিল করা গিয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ মনে করেছে। বর্ধমানের মতো করোনা আক্রান্ত জেলায় একশো শতাংশ কর্মীকে কাজে লাগানোয় তেমন সমস্যা হয়নি বলে দাবি করেছেন মন্তক সিং। তিনি জানান, তিনটি শিফটের যায়গায় দুটো শিফটে সব কর্মী কাজ করলেও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার মতো ব্যবস্থা রয়েছে। ফলে সেই অর্থে কর্মীদের মধ্যে সংক্রমণ ছড়াতে পারেনি। এপর্যন্ত কারখানায় মাত্র চারজন কর্মী করোনায আক্রান্ত হয়েছেন। দুর্গাপুর কোভিড হাসপাতালে চিকিৎসার পর সেরে উঠে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন তাঁরা। কারখানায় কোনও আতঙ্ক নেই। ফলে সংক্রমনের আতঙ্ক দূরে রেখে সফলতার দৌড়ে এগিয়ে চলেছে সিএলডব্লিউ।
[আরও পড়ুন: রুটি ‘চুরি’ করেছে! রাগের বশে কুকুরের পেটে সাঁড়াশি ঢুকিয়ে দিল যুবক]
The post করোনা কালেও পুরোদমে কাজ, ৫১টি ইঞ্জিন তৈরি করে নজির চিত্তরঞ্জন রেল কারখানার appeared first on Sangbad Pratidin.