সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আইপিএল চলাকালীন স্বার্থের সংঘাতের অভিযোগ উঠেছিল ভারতীয় ক্রিকেটের তিন কিংবদন্তি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, শচীন তেণ্ডুলকর এবং ভিভিএস লক্ষ্মণের বিরুদ্ধে। প্রশ্ন উঠেছিল, কীভাবে ক্রিকেটের প্রশাসনিক এবং কোনও দলের মেন্টর পদ একইসঙ্গে সামলানোর অনুমতি পান তাঁরা? বিশ্বকাপের মধ্যে ফের উঠল সেই প্রসঙ্গ। এই প্রেক্ষিতে এবার নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করল ভারতীয় ক্রিকেট কন্টোল বোর্ড (বিসিসিআই)। জানিয়ে দেওয়া হল, সুপ্রিম কোর্টের অনুমোদিত বিসিসিআইয়ের নিয়ম অনুযায়ী, কোনও ক্রিকেটার একসময় একটিই পদে থাকতে পারবেন।
গত আইপিএলে দিল্লি ক্যাপিটালসের উপদেষ্টার ভূমিকায় দেখা গিয়েছে সৌরভকে। যা ঘিরে স্বার্থের সংঘাতের প্রশ্ন তুলে কলকাতার দুই ক্রিকেটপ্রমী রঞ্জিত শীল এবং ভাস্বতী সাঁতুয়া চিঠি পাঠিয়েছিলেন ভারতীয় বোর্ডের ওম্বুডসম্যান ডি কে জৈনকে। অভিযোগ, সৌরভ একই সঙ্গে কী করে সিএবি প্রেসিডেন্ট এবং দিল্লি ক্যাপিটালসের উপদেষ্টা হতে পারেন। একই প্রশ্ন ওঠে শচীন এবং লক্ষ্মণের বিরুদ্ধে। এরপরই বিস্তর জলঘোলা শুরু হয়। এসবের মধ্যেই বোর্ড ওম্বুডসম্যান চিঠি পাঠিয়ে উত্তর চান সৌরভের কাছে। চিঠির উত্তরে সিএবি প্রেসিডেন্ট জানান, কোনওরকম স্বার্থের সংঘাতের সঙ্গে তিনি জড়িত নেই। বোর্ডের কোনও কমিটিতেও আর তিনি নেই। আইপিএলের কমিটি বা ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্ক নেই। সে সব পদ থেকে তিনি হয় ইস্তফা দিয়ে দিয়েছেন। নয়তো সরে গিয়েছেন। শচীন জানান, বিসিসিআইয়ের উপদেষ্টা কমিটির পদ গ্রহণের অনেক আগে থেকেই তিনি মুম্বই দলের সঙ্গে যুক্ত। এমনকী, মেন্টর হিসেবে তিনি কোনও অর্থও নেন না। লক্ষ্মণও বিসিসিআইয়ের অবস্থান জানার অপেক্ষায় ছিলেন। এবার বোর্ড জানাল, হয় তাঁরা আইপিএলের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারবেন আর নাহলে বিশ্বকাপে ধারাভাষ্য দিতে পারবেন। দুটো কাজ একসঙ্গে করা যাবে না।
[আরও পড়ুন: অনবদ্য রেকর্ড ওয়ার্নারের, রহিমের সেঞ্চুরিও বাঁচাতে পারল না বাংলাদেশকে]
চলতি বিশ্বকাপে ধারাভাষ্যকর হিসেবে সকলের নজর কেড়েছেন মাস্টার ব্লাস্টার। সুনীল গাভাসকর, হরভজন সিং, অনিল কুম্বলেদের সঙ্গে সৌরভ ও লক্ষ্মণকেও বিশ্বকাপের কমেন্ট্রি বক্সে দেখা যাচ্ছে। কিন্তু বোর্ডের নেওয়া এই সিদ্ধান্তের পর যে তিন প্রাক্তন ক্রিকেটারকে যেকোনও একটি ভূমিকা বেছে নিতে হবে, তা স্পষ্ট। প্রসাশনিক পদ, আইপিএল অথবা ধারাভাষ্য, যেকোনও একটি জায়গাতেই দেখা যাবে তাঁদের। চ্যানেলের সঙ্গে বা বোর্ডের সঙ্গে চুক্তি থাকা সত্ত্বেও একটি ভূমিকাই পালন করতে পারবেন তিন কিংবদন্তি।
বিসিসিআই ওয়েবসাইটে স্বার্থের সংঘাত বিষয়টি রয়েছে নিয়মাবলির ৩৮ (৪) ধারায়। যেখানে উল্লেখ করা আছে, কোনও এক ব্যক্তি নিচে দেওয়া একটির বেশি পদ একই সময় গ্রহণ করতে পারবেন না। সেগুলি হল, বর্তমান খেলোয়াড়, নির্বাচক বা ক্রিকেট কমিটির সদস্য, টিম অফিসিয়াল, ধারাভাষ্যকর, ম্যাচ অফিসিয়াল, প্রশাসক বা অফিস কর্মী এবং ক্রিকেট অ্যাকাডেমির মালিক। নিয়ম চালু হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত মেনে নিতে হবে।
[আরও পড়ুন: VAR-এর সৌজন্যে মানরক্ষা উরুগুয়ের, জাপানের সঙ্গে ড্র সুয়ারেজদের]
The post বিশ্বকাপের মাঝেই স্বার্থের সংঘাত ইস্যুতে শচীন-সৌরভকে নিয়ে বড়সড় সিদ্ধান্ত বিসিসিআইয়ের appeared first on Sangbad Pratidin.