সুমন করাতি, হুগলি :পরিবারের আর্থিক অবস্থা খুব একটা স্বচ্ছল নয়। সাত-পাঁচ ভেবেই সংসার চালাতে হয়। তবে এখন চুঁচুড়ার রবীন্দ্রনগর এলাকার বাড়িতে খুশির হাওয়া। কারণ বাড়ির মেয়ে যাচ্ছেন দিল্লি। রাজধানীতে প্রথমবার অনুষ্ঠিত হতে চলেছে খো খো বিশ্বকাপ। সেখানে ভারতীয় দলের তালিকার নাম রয়েছে ঈশিতা বিশ্বাসের। দিল্লি যাওয়ার আগে প্রশিক্ষণ, প্রস্তুতি এখন তুঙ্গে। থার্ড ইয়ারের ছাত্রী ঈশিতার এখন একমাত্র লক্ষ্য চূড়ান্ত দলে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার।
আগামী বছর ১৩ জানুয়ারি এই প্রতিযোগিতা শুরু হচ্ছে। বিশ্বের ২৬ টি দেশ সেই প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছে। ভারতীয় দলে নাম রয়েছে চুঁচুড়ার ঈশিতার। তাঁর বাবা পেশায় একজন প্লাম্বার। মা অন্যের বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করেন। নিতান্ত সাধারণ পরিবারে বড় হয়েছেন এই ক্রীড়াবিদ। ঈশিতার ইচ্ছাশক্তি ও পরিশ্রম তাঁকে খেলায় সাফল্য এনে দিচ্ছে। ছোটবেলা থেকেই তাঁর খেলার প্রতি গভীর আগ্রহ।
এলাকার জাগরণী ক্লাবের মাঠে তিনি দৈনিক প্রশিক্ষণ নেন। এখনও সেখানেই চলছে তাঁর প্র্যাক্টিস। কোচ মিঠুন সরকার প্রথম থেকেই ঈশিতার মধ্যে বিশেষ প্রতিভা দেখতে পান। তাঁর মতে মাঠে দক্ষতা ও অদম্য মানসিকতার পরিচয় দেবেন। কোচের দৃঢ়বিশ্বাস, ঈশিতা যেমন জীবনযুদ্ধে লড়াই করেছে, তেমনই খেলার মাঠেও তিনি লড়াই করবেন। আর ভারতীয় দলের চূড়ান্ত তালিকাতেও তাঁর নাম থাকবে।
শুধু ঈশিতার একার সাফল্য নয়, মিঠুনবাবু মনে করছেন, আগামী খো খো বিশ্বকাপে ভারত সফল হবে।ঈশিতার বাবা-মাও আশাবাদী, মেয়ে সফল হবে। লক্ষ্যপূরণ করে তবেই থামবে ঈশিতা।