কল্যাণ চন্দ্র, বহরমপুর: কলকাতার ভবানীভবনের জিজ্ঞাসাবাদের পর মুর্শিদাবাদের সুতির এক স্কুলের প্রধান শিক্ষক আশিস তিওয়ারিকে গ্রেপ্তার করল সিআইডি। অভিযোগ, আশিস তিওয়ারি নামে ওই শিক্ষক ছেলে অনিমেষ তিওয়ারিকে নিজেরই স্কুলে ভুয়ো নিয়োগ করেছিলেন। অন্য়ের নিয়োগপত্র ব্যবহার করে স্কুলে চাকরি করছিলেন আশিষ তিওয়ারির ছেলে। অভিযোগ পাওয়ায় হাই কোর্ট তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল সিআইডিকে। সেই তদন্ত চলাকালীন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হল।
কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে গত ২১ জানুয়ারি থেকে বহরমপুরের জেলা শিক্ষা ভবন এবং সুতির ওই বিদ্যালয়ে বেশ কিছুদিন ধরে তদন্ত করেছিল সিআইডি। জেলার প্রাক্তন ডিআই এবং বর্তমান ডিআই-সহ ওই স্কুল পরিচালন কমিটির প্রাক্তন এবং বর্তমান সভাপতি এবং অন্যান্য শিক্ষক সহ পরিচালন কমিটির একাধিক সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিআইডি। সোমবার ভবানীভবনে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে টানা জিজ্ঞাসাবাদের পর বয়ানে অসঙ্গতি মেলায় গ্রেপ্তার করে সিআইডি।
[আরও পড়ুন: নাড্ডাকে স্বাগত তৃণমূলে যোগ দেওয়া জয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের! ভাইরাল ছবি ঘিরে তুঙ্গে জল্পনা]
মুর্শিদাবাদের সুতির ১ নম্বর ব্লকের গোথা এয়ার স্কুলের প্রধান শিক্ষক আশিস তিওয়ারির ছেলে অনিমেষ তিওয়ারি। তিনি ওই স্কুলের ভূগোলের শিক্ষক ছিলেন। বাবার স্কুলেই ছেলের চাকরি নিয়ে সন্দেহ হওয়ায় মামলা দায়ের হয়। ওই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে সামনে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। অন্যের সুপারিশ এবং নিয়োগপত্র জাল করে বাবার স্কুলে চাকরি করতেন অনিমেষ। নিয়োগপত্রের মেমো নম্বর এক রেখে অনিমেষ নিজের নাম নিয়োগপত্রে বদলে নেন বলেই অভিযোগ।
আরটিআইয়ের পরিপ্রেক্ষিতে অনিমেষের বাবা জানান তাঁর ছেলে গোথা এয়ার স্কুলের কর্মশিক্ষার শিক্ষক। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন ওঠে তবে যাঁর সুপারিশ এবং নিয়োগপত্র জাল করলেন অনিমেষ, তিনি এই মুহূর্তে কী করছেন? পরে যদিও জানা যায় ওই ব্যক্তি বর্তমানে মুর্শিদাবাদের বেলডাঙার একটি স্কুলে চাকরি করেন। এই ঘটনার তদন্তে নেমে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষককে গ্রেপ্তার করল সিআইডি।