সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তালিবানের (Taliban) হাতে কাবুলের পতনের পরেই আফগানিস্তানে সিনেমা হল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। তালিব শাসনের এক বছর পরে দেশের কয়েকটি সিনেমা হল খোলার অনুমতি দিল তালিব শাসকরা। তবে মহিলাদের সিনেমায় অভিনয় করার অনুমতি দেয়নি তালিবান। তাই সিনেমা হল খোলার আনন্দের মাঝেও খচখচ করছে নারীদের অধিকারের বিষয়টি। পরিসংখ্যান বলছে, ৩৭টি সিনেমার মধ্যে মাত্র একটি ছবিতে অভিনয় করেছেন একজন অভিনেত্রী।
জানা গিয়েছে, খুব তাড়াতাড়িই আফগানিস্তানের (Afghanistan) কয়েকটি সিনেমা হল খুলে দেওয়া হবে। সেখানে মোট ৩৭টি ছবি দেখানো হবে। তার মধ্যে কাল্পনিক ছবির সঙ্গেই তথ্যচিত্রও রয়েছে। কাল্পনিক ছবিগুলিতেও অভিনয় করার অনুমতি পাননি আফগান নারীরা। একমাত্র আতিফা মহম্মদি নামে এক মহিলা ছবিতে অভিনয় করতে পেরেছেন। সেই প্রসঙ্গে কাবুলের এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, “মহিলাদের অভিনয় করার পূর্ণ অধিকার রয়েছে। তাঁদের আটকে রাখা একেবারেই উচিৎ নয়। তাছাড়া মহিলা চরিত্র না থাকলে একটি সিনেমাও অসম্পূর্ণ থেকে যায়।”
[আরও পড়ুন: পরীক্ষায় ফেল করবেন হবু স্ত্রী! জানতে পেরেই স্কুলে আগুন ধরিয়ে দিল স্বামী]
প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যেও সিনেমা বানানোর স্বপ্নকে বিসর্জন দেননি কাবুলের চিত্র পরিচালকরা। ফায়াজ ইফতিকার নামে এক অভিনেতা বলেছেন, “নিজেদের পকেট মানি জমিয়ে সিনেমা বানিয়েছি। সমস্যা থাকা সত্ত্বেও কাজ করতে খুব ভাল লেগেছে।” তাঁদের তৈরি সিনেমা সকলে দেখতে পাবেন, এই কথা ভেবেই খুশি সিনেমা নির্মাতারা। তবে একইসঙ্গে প্রশ্ন উঠছে, মহিলাদের কি সিনেমা দেখার অনুমতি দেওয়া হবে?
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই মেয়েদের জন্য নয়া ফতোয়া জারি করেছিল তালিবান। বলা হয়েছিল, দরকার ছাড়া যেন মেয়েরা বাড়ি থেকে না বেরন। যদি বেরতেই হয় তাহলে বোরখা এবং হিজাব পরে রাস্তায় বেরতে হবে। মেয়েদের জন্য স্কুল খোলার প্রতিশ্রুতি দিয়েও তা পালন করেনি তালিবান। উলটে প্রায় সমস্ত চাকরি থেকেই মহিলাদের নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে। নারী কল্যাণ মন্ত্রককে বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। সবমিলিয়ে তালিবান জমানায় মহিলাদের অবস্থা একেবারে শোচনীয়।