সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: “সরকারের উচিত এই সময়ে দেশের সব মদের দোকান খোলা রাখা। পারতপক্ষে যে মদের দোকানগুলির ছাড়পত্র রয়েছে, সন্ধেবেলা করে সেগুলো খোলা রাখাই যায়!”, মন্তব্য ঋষি কাপুরের। কিন্তু দেশজুড়ে যখন মারণ ভাইরাসের কামড় বাড়ছে, তার মাঝে এ কেমন পরামর্শ প্রবীণ বলিউড অভিনেতার? সন্দিহান ছিলেন অনেকেই! আসলে লকডাউনে রাজ্যের সব মদের দোকান বন্ধ থাকায় গত ২৭ মার্চ কেরলে আত্মঘাতী হন এক যুবক। সেই পরিপ্রেক্ষিতে দাঁড়য়েই ঋষি কাপুরের এই মন্তব্য।
বিশ্বজুড়ে মহামারীর রূপ নিয়েছে করোনা। মৃত ও আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিমুহূর্তে বেড়ে চলেছে। দেশে লকডাউন। এই পরিস্থিতিতে হঠাৎ করে সরকারের কাছে ঋষি কাপুরের মদের দোকান খোলা রাখার আরজি কতটা যুক্তিযুক্ত? উত্তরটা নিজেই দিয়েছেন বলিউড অভিনেতা।
ঋষির কথায়, লকডাউনের মধ্যে পুলিশ, চিকিৎসক তথা সাধারণ মানুষদের কিছুটা চাপমুক্ত রাখতেই সরকারি ছাড়পত্র পাওয়া মদের দোকান খোলা উচিত। টুইটারে ঋষি লিখেছেন, “আমায় ভুল বুঝবেন না করে! এই ক’দিন গৃহবন্দি হয়ে অনেকেই অবসাদ, অনিশ্চয়তায় ভুগছেন। পুলিশ, চিকিৎসক, সাধারণ মানুষ, সবারই তো একটু মুক্তির আস্বাদ প্রয়োজন। চোরাভাবে তো মদ বিক্রি চলছেই।”
পাশাপাশি তিনি এও জানান যে, মদ বিক্রির ফলে সরকারের ঘরে যে বাড়তি রাজস্ব ঢুকবে, তা এই পরিস্থিতিতে করোনা মোকাবিলায় কাজে লাগবে। পরবর্তী টুইটে ঋষি কাপুর লিখেছেন, “হতাশা কখনোই অবসাদের সঙ্গে মিশে যাওয়া কাম্য নয়! তাই আমার মতে, মদ বিক্রির ক্ষেত্রে হিপোক্রিসি না দেখিয়ে সরকারিভাবে তা করাই ভাল।”
[আরও পড়ুন: করোনা তহবিলে ৩০ লক্ষ টাকা-সহ একমাসের বেতন দিলেন সাংসদ নুসরত]
করোনা মোকাবিলায় আগামী তিন সপ্তাহের জন্য লকডাউনের জেরে কেরলে মৃত্যু হয়েছে ১ যুবকের। সেই প্রেক্ষিতেই ঋষির এমন মন্তব্য। কেন আত্মঘাতী হলেন ওই যুবক? কারণ খুঁজতে গিয়ে পুলিশ জানতে পারে, তিনি মদ্যপানে আসক্ত ছিলেন। রাজ্যজুড়ে সব মদের দোকান বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে প্রমাদ গোনেন তিনি। তাঁর পরিবার জানিয়েছে, একে বাড়িতে বসে থাকা, উপরন্তু মদের দোকান সব বন্ধ। সবমিলিয়ে অবসাদে ছিলেন ওই যুবক। মদ না পেয়ে গত দুদিন তাঁর শরীর খারাপ হতে শুরু করে। ফলে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন তিনি। নেটিজেনদের একাংশ অবশ্য এতমত নন ঋষির সঙ্গে।
[আরও পড়ুন: করোনা তহবিলে ৩০ লক্ষ টাকা-সহ একমাসের বেতন দিলেন সাংসদ নুসরত]
The post ‘সরকারের উচিত লকডাউনে বৈধ মদের দোকানগুলো খোলা রাখা’, মন্তব্য ঋষি কাপুরের appeared first on Sangbad Pratidin.
