সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হেলমেট ছাড়া বাইকে চড়া যে উচিত নয়, তা জানা প্রায় সকলেরই। তবে তা সত্ত্বেও নিয়ম ভাঙলেন অভিনেতা সোহেল খান (Sohail Khan)। আইনবহির্ভূত এই কাজের জন্য খানিক অনুতপ্ত তিনি। ঠিক কী কারণে হেলমেট পরেননি, তা উল্লেখ করেন। অন্যান্য বাইক আরোহীদের পরামর্শও দেন অভিনেতা।
তিনি ইনস্টাগ্রাম পোস্টে লেখেন, "আমি সমস্ত বাইকচালকদের হেলমেট পরার অনুরোধ জানাই। আমি মাঝে মাঝে হেলমেট পরতে পারি না। কারণ, আমার নিজেকে বদ্ধ বা ক্লস্টোফোবিক বলে মনে হয়। যদিও এটা হেলমেট না পরার কোনও কারণ নয়। ছোট থেকেই আমার বাইক চড়ার নেশা। বিএমএক্স সাইকেল থেকে যার শুরু। এখন আমি বাইক চড়ি। ঝুঁকি এড়াতে আমি সাধারণত গভীর রাতে বাইক চালাই। যখন রাস্তাঘাটে বেশি গাড়িঘোড়ার বিশেষ ভিড় থাকে না। দূর থেকে আমার গাড়ি আমাকে অনুসরণ করে।"
সোশাল মিডিয়া পোস্টের একেবারে শেষের দিকে অবশ্য প্রশাসনিক কর্তাব্যক্তিদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নেন অভিনেতা। তিনি লেখেন, "যাঁরা হাজার কষ্ট, বিরক্তি সহ্য করে হেলমেট পরেন, তাঁদের আমার কুর্নিশ। আমি এরপর থেকে আর কখনও নিয়ম ভাঙব না। সবসময় হেলমেট পরব। দুঃখপ্রকাশের চেয়ে নিরাপত্তা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।" পোস্টের শেষে আরও একবার দুঃখপ্রকাশ করেন অভিনেতা।
তবে এই প্রথমবার নয়। নিয়মভঙ্গ করার ভুরি ভুরি অভিযোগ রয়েছে সোহেলের বিরুদ্ধে। এর আগে গত ২০২১ সালে কোভিডকালে কোয়ারেন্টাইনের নিয়ম ভেঙেছিলেন অভিনেতা। বৃহন্মুম্বই পুরনিগমের দাবি, কোভিডের সময় সংযুক্ত আরব আমিরশাহী থেকে ফিরেছিলেন তিনি। বিধি অনুযায়ী, বিদেশ থেকে আসা কাউকে সাতদিন বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনে থাকতেই হয়। তারপর তাঁর কোভিড টেস্ট হবে। রিপোর্ট নেগেটিভ হলে আর পাঁচজনের সঙ্গে স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে হবে। সে কারণে বিলাসবহুল হোটেলে তাঁর থাকার বন্দোবস্তও করা হয়। তবে হোটেল বুকিং বাতিল করে বাড়ি ফিরে যান অভিনেতা। সে কারণে মহামারি আইনভঙ্গের অভিযোগ মামলা রুজু হয়। বৃহন্মুম্বই পুরনিগমের তরফে খার থানায় সেবার অভিনেতার বিরুদ্ধে অভিযোগও দায়ের হয়।
