সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিচ্ছেদ মানে কি শুধুই তিক্ততা? রহমানের স্ত্রী সায়রাবানু দিলেন অন্য পাঠ। মিউজিক মায়েস্ত্রোর সম্পর্কে নানা কুকথা, চটুল, কুৎসিত খবর ছড়াতেই ময়দানে সায়রা। এ আর রহমানের সঙ্গে উনত্রিশটা বছর সংসার করেছেন। স্বাভাবিকভাবেই এই কঠিন সময়ে যে হাজারো রটনা, গুঞ্জন আরও বিচলিত করবে। এবার ডিভোর্স ঘোষণার পাঁচ দিন বাদে মুখ খুললেন সায়রাবানু (Saira Banu)।
বুধবার সোশাল মিডিয়ায় আচমকাই ডিভোর্স ঘোষণা করলেন অস্কারজয়ী সুরকার এ আর রহমান। সোশাল মিডিয়ায় এ আর রহমানের বিচ্ছেদ ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা পরেই রহমানের (AR Rahman) সহশিল্পী মোহিনী দে-ও (Mohini Dey) স্বামী ম্যাকের সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘোষণা করেন। দুই ঘটনার যোগসূত্র খুঁড়ে নানা জল্পনা নেটপাড়ায়। রটে গিয়েছে, রহমান-সায়রাবানুর ডিভোর্সের নেপথ্যে নাকি পরকীয়া! কেন ত্রিশ বছরের দাম্পত্য ভাঙলেন? এই প্রথমবার মুখ খুললেন সায়রাবানু। রবিবার এক ভয়েস নোট প্রকাশ্যে এনে সায়রাবানু জানালেন, "নমস্কার আমি সায়রা রহমান। আমি গত কয়েক মাস ধরেই মুম্বইতে রয়েছি। আমি রহমানের থেকে একটু বিরতি নিতে চেয়েছিলাম। ইউটিউবার এবং সমস্ত মিডিয়াকর্মীদের কাছে আমার অনুরোধ, রহমানের নামে কোনও খারাপ কথা বলবেন না। ও দারুণ একজন মানুষ। আমার দেখা সেরা মানুষ। আমি শুধুমাত্র আমার শারীরিক অসুস্থতার জন্যই চেন্নাই ছেড়েছি। আমি জানতাম, আমি চেন্নাইতে না থাকলেই লোকজন ভাববে, সায়রা কোথা গেল? আসলে আমার চিকিৎসা চলছে। চেন্নাইতে রহমানের এত ব্যস্ত শিডিউল থাকে যে, ওখানে থাকলে এটা সম্ভব হত না।"
এরপরই সায়রাবানুর সংযোজন, "আমি আর রহমান এখনও একে-অপরকে ভালোবাসি। আর এই বিচ্ছেদের সিদ্ধান্তটা একশো শতাংশ মিউচুয়াল। খুব ভালো মানুষ ও। তাই সকলের কাছে আমার অনুরোধ রহমান যেমন আছে, ওকে তেমনটাই থাকতে দিন। আমার নিজের জীবন দিয়ে ওকে বিশ্বাস করি। এতটাই ভালোবাসি আমি ওকে। রহমানও তাই। তাই সবার কাছে একটাই আর্জি, রটনা রটানো বন্ধ করুন। আমাদেরকে একটু একা থাকতে দিন। আমরা তো অফিশিয়ালি কারণ নিয়ে কিছু বলিনি এখনও। তাই ওঁর নামে কুৎসা রটাবেন না।"
১৯৯৫ সালে রহমান ও সায়রা বানুর বিয়ে হয়েছিল। দেখাশোনা করেই নাকি এই বিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু দীর্ঘ ২৯ বছর তাঁরা একসঙ্গে কাটিয়েছেন। খাতিজা, রহিমা ও আমিন, তিন সন্তানের জন্ম হয়েছে। মেয়ে খাতিজার বিয়েও হয়ে গিয়েছে। বিয়ের এত বছর পর আচমকা কেন বিচ্ছেদের পথে হাঁটলেন রহমান ও সায়রা? এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কিছু জানা যায়নি। তবে এক্স হ্যান্ডেলে রহমান নিজের ও সায়রার যৌথ বিবৃতি শেয়ার করেছেন। যাতে জানানো হয়, দাম্পত্যের তিরিশ বছরের জন্য অনেক প্রত্যাশা ছিল রহমান ও তাঁর স্ত্রীর। কিন্তু তা হল না। বিবৃতিতে লেখা, ‘আমরা গ্র্যান্ড থার্টিতে পৌঁছে যাব এই আশা ছিল। কিন্তু নিয়তির যে অন্য ভাবনা ছিল আর তা আগে থেকে আঁচ করা যায়নি। ভাঙা মনের ভারে ঈশ্বরের আসনও তো টলে যায়। তবুও এই ছিন্নভিন্ন সম্পর্কে আমরা মানে খুঁজতে থাকি। যদিও এই ভাঙা টুকরো গুলো আবার আগের মতো জোড়া লাগানো সম্ভব নয়। জীবনের এই ভঙ্গুর অধ্যায়ে আমাদের প্রাইভেসিকে সম্মান করার জন্য় আর মহানুভবতার জন্য বন্ধুদের ধন্যবাদ জানাই।'