সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: 'ধুরন্ধর'-এর হাত ধরেই রণবীর সিংয়ের মন্দা কেরিয়ারের 'শাপমোচন'। কোভিডকাল থেকে বক্স অফিস ভাঁটার যন্ত্রণায় যেন 'মলমে'র মতো কাজ করল এই সিনেমার ব্যবসা। মাত্র ২১ দিনে বিশ্বব্যাপী ১০০০ কোটির ব্যবসা করার পাশাপাশি একাধিক সিনেমার রেকর্ড ভেঙেছে আদিত্য ধর পরিচালিত ছবি। এমনকী পঁচিশের বক্স অফিসে সাড়া ফেলে দেওয়া ভিকি কৌশলের 'ছাবা' এবং 'সাইয়ারা'র রেকর্ডকেও দুরমুশ করে দিয়েছে 'ধুরন্ধর'।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে বক্স অফিসে 'ধুরন্ধর' সুনামি অব্যাহত। আইনি জটিলতা, বিতর্ক সঙ্গী করে গত ৫ ডিসেম্বর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির আলো দেখেছে আদিত্য ধর পরিচালিত সিনেমা। আর মাত্র কয়েক দিনেই 'ধুরন্ধর' জ্বরে কাবু হয়েছে গোটা দেশ তথা বিশ্ব! পঁচিশের বক্স অফিস নম্বরের নীরিখেও অনেকটা এগিয়ে এই ছবি। যেখানে 'ছাবা' ৮০০ কোটির ব্যবসা করেছিল এবং 'সাইয়ারা'র বিজয়রথ মোটে ৫৮০ কোটিতেই থেমে গিয়েছিল, সেখানে রণবীর সিং অভিনীত সিনেমা মোটে ২১ দিনেই হাজার কোটির গণ্ডি ছুঁয়ে পঁচিশের বক্স অফিসে নতুন মাইলস্টোন গড়ল। বলিউড মাধ্যম সূত্রে খবর, ভারতে ৬৬৯ কোটির ব্যবসা করার পাশাপাশি গোটা বিশ্বে ১,০০৬.৭ কোটি টাকা আয় করেছে 'ধুরন্ধর'। আর এহেন ব্যবসা হাঁকিয়েই ২০২৫ সালের বক্স অফিস নম্বরের নীরিখে পয়লা স্থান অর্জন করলেন রণবীর সিং।
বলিউড মাধ্যম সূত্রে খবর, পয়লা এবং দ্বিতীয় সপ্তাহে জাতীয়স্তরে যথাক্রমে ২১৮ কোটি এবং ২৬১.৫০ কোটি টাকা আয় করেছে 'ধুরন্ধর'। যদিও তৃতীয় সপ্তাহে ব্যবসার গ্রাফ খানিক কমেছে, তবে আন্তর্জাতিক বক্স অফিসের হিসেবে ভর করে হাজার কোটির ক্লাবে ঢুকে পড়েছে 'ধুরন্ধর'। দক্ষিণী সিনেমার রমরমার বাজারে বলিউডের জন্য যে এটা নিঃসন্দেহে নতুন মাইলস্টোন, তা বলাই বাহুল্য। পাশাপাশি রণবীর সিংয়ের মন্দা কেরিয়ারের মোড় ঘোরাতেও 'তুরুপের তাস' হিসেবে কাজ করল কাজ করল আদিত্য ধর পরিচালিত সিনেমা।
বছরখানেক ধরেই রণবীর সিংয়ের বক্স অফিসে যে ভাঁটা ছিল, তা বললে অত্যুক্তি হয় না! তারকাখচিত সিনেমা হোক কিংবা সমৃদ্ধ কন্টেন্ট, কোনও অস্ত্র দিয়েই ব্লকবাস্টারের লক্ষ্যভেদ করতে পারেননি অভিনেতা! এযাবৎকাল তাঁর বক্স অফিসের মন্দা বাজার নিয়েও কম সমালোচিত হতে হয়নি 'খিলজি'কে। তবে এবার 'ধুরন্ধর'-এর হাত ধরেই দাপুটে প্রত্যাবর্তন রণবীর সিংয়ের।
