সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শরিফুল ইসলাম শেহজাদ কি আদৌ সইফ আলি খানের হামলাকারী? গত কয়েক দিন ধরেই সোশাল মিডিয়ায় এই প্রশ্ন ঘোরাফেরা করছে। বিশেষ করে তথাকথিত একটি ফিঙ্গারপ্রিন্ট রিপোর্ট ফাঁস হওয়ার পর থেকে রীতিমতো প্রশ্নবাণে বিদ্ধ হতে হচ্ছে পুলিশকে। এবার সব প্রশ্নের জবাব দিয়ে গেল মুম্বই পুলিশ।

মুম্বই পুলিশের এসিপি পরমজিৎ সিং দাহিয়া বলছেন, "যাকে আমরা গ্রেপ্তার করেছি সেই হামলাকারী। আমাদের মনে কোনও সন্দেহ নেই। ওই যে হামলাকারী, সেটা প্রমাণ করার জন্য যথেষ্ট প্রমাণ আমাদের হাতে রয়েছে।" মুম্বই পুলিশের এসিপির সাফ কথা, ও অপরাধী কিনা, সে নিয়ে কোনওরকম সংশয় আমাদের মধ্যে নেই। তাঁর সাফ কথা, "ওর বিরুদ্ধে সব রকমের বহু প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে।"
সম্প্রতি এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম দাবি করে, সইফের বাড়ি থেকে পাওয়া ফিঙ্গারপ্রিন্ট ধৃত শরিফুলের সঙ্গে মেলে না। মুম্বই পুলিশ সইফ আলি খানের বাড়ি থেকে সম্ভাব্য হামলাকারীর ১৯টি ফিঙ্গারপ্রিন্টের নমুনা সংগ্রহ করে। এদিকে ধৃত শরিফুল ইসলাম শেহজাদের ১০টি আঙুলের ছাপও পাঠানো হয়েছিল। ওই সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম দাবি করে, সইফের বাড়ি থেকে পাওয়া ১৯টি নমুনার একটাও মিলছে না শরিফুলের সঙ্গে।
স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছিল, আদৌ শরিফুলই সইফের বাড়িতে হামলা চালিয়েছেন তো? যার জবাবে এদিন মুম্বই পুলিশের এসিপি সাফ বলে দিলেন, এই ধরনের কোনও ফিঙ্গারপ্রিন্ট রিপোর্টের কথা তাঁর জানা নেই। তিনি জানিয়েছেন, এখনও ফিঙ্গারপ্রিন্ট পরীক্ষার রিপোর্ট তাঁদের হাতে আসেনি। এর বাইরে অনেক প্রমাণ এসেছে। ফিঙ্গারপ্রিন্ট পরীক্ষার রিপোর্ট এলে সেটা খতিয়ে দেখা হবে। পুলিশ নিশ্চিত শরিফুলই সইফের বাড়িতে হামলা চালিয়েছিল। জিজ্ঞাসাবাদেও পুলিশ এমন তথ্য পেয়েছে যা প্রমাণ করে সেদিন রাতে হামলা চালিয়েছিল শরিফুলই। তাঁর কাছ থেকে বাংলাদেশের নথিও উদ্ধার হয়েছে।