সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাটির ভাঁড়ে চায়ে চুমুক। ট্রামে চড়ে শহরের বুকে নস্ট্যালজিয়া ঘেঁটে দেখলেন ইমতিয়াজ আলি (Imtiaz Ali)। ছুঁয়ে দেখলেন তিলোত্তমার সব স্মৃতি। ফিল্মোৎসব উপলক্ষে শুক্রবারই কলকাতায় পা রেখেছেন ইমতিয়াজ। কলকাতা যে তাঁর প্রাণের শহর, তা বুঝিয়ে দিলেন শহরের অলি-গলিতে ফুটপাতে বসা খাবারের বিবরণ দিয়ে। আবার কখনও বা বাংলার সাহিত্য-সংস্কৃতির প্রতি প্রেম নিবেদন করে। বলিউড পরিচালক যেন তিলোত্তমার বিস্ময় প্রেমিক!
আন্তর্জাতিক কলকাতা ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের (KIFF 2024) তৃতীয় দিনে দেখানো হল অ্যান্থোলজি 'মাই মেলবোর্ন'। যে ছবির অন্যতম পরিচালক ইমতিয়াজ। আর নিজের ছবির প্রচারের জন্যেও শহরের ঐতিহ্যকেই বেছে নিলেন তিনি। সঙ্গী সিনেমার আরও দুই পরিচালক রিমা দাস এবং ওনির। শুধু ট্রামে চড়েই ক্ষান্ত হননি, কখনও চলমান যানের মেঝেতে বসে মাথা নিচুর করে স্মৃতিতে ডুব দিয়েছেন আবার কখনও বা চালকের আসনে বসে ট্রাম চালানোর চেষ্টা করলেন। তার পরই ঢুঁ দিলেন নন্দনে। সেখানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ইমতিয়াজ আলি সদর্পে স্বীকার করে নিলেন, "আপনারা সৌভাগ্যবান যে এই শহরে থাকেন। এসব খাবার তো মুম্বইয়ে পাওয়াই যায় না।"
কলকাতায় ইমতিয়াজ আলি। (ছবি- শুভজিৎ মুখোপাধ্যায়)
গতবছরের মাঝামাঝি কলকাতায় এসে মাটির ভাঁড়ে চা আর রাস্তার ধারের দোকান থেকে কচুরি-আলুর তরকারি খেয়ে প্রাতঃরাশ সেরেছিলেন। এবারের সফরেও ইমতিয়াজের মুখে কলকাতার খানাপিনার কথা। এখানকার বিরিয়ানি, ঝালমুড়ি থেকে রকমারি কাবাব পরিচালকের বড্ড পছন্দ। শহরের কোথায় ভালো মালাই টোস্ট পাওয়া যায়, সেই ঠিকানাও 'জব উই মেট', 'রকস্টার', 'তামাশা', 'হাইওয়ে' পরিচালকের ভালোই জানা। কলকাতায় সিনেমার শুটিং করার ইচ্ছেপ্রকাশও করলেন পরিচালক। কথা বললেন বর্তমান বাংলা সিনেমা নিয়েও। এখনকার বাংলা ছবি কি তিনি দেখেন? ইমতিয়াজের উত্তর, "এখন দেখা বন্ধ করে দিয়েছি। বাংলায় হয়তো ভালো ছবি হয়, তবে যে গৌরব ছিল সেটা ফিরিয়ে আনতে হবে। বাংলা সিনেমাকে আরও স্ট্রং হতে হবে।" এদিন 'মাই মেলবোর্ন' দেখতে পৌঁছে যান সৃজিত মুখোপাধ্যায়ও। দেখা হওয়া মাত্রই একে-অপরকে আলিঙ্গন করলেন। সেখানেই ইমতিয়াজ জানালেন বাংলার চিত্রনাট্যকার, গল্পের খোঁজে তিনি। "কেউ থাকলে যোগাযোগ করুন। সফল হোক বা ব্যর্থ, সেটা পরের কথা", মন্তব্য বলিউড পরিচালকের।