সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাতদুপুরে বাড়িতে ঢুকে ছিনতাইয়ে চেষ্টা, বাধা পেয়ে ছুরি দিয়ে উপুর্যপরি আঘাত। বাড়ির নিরাপত্তা যতই আঁটসাঁট হোক, দুষ্কৃতী হামলায় হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের পর সুস্থ হয়ে তাই সেই বাড়িতে ফিরলেন না বলিউড নবাব সইফ আলি খান (Saif Ali Khan)। হামলার ঘটনার ৬ দিন পর মঙ্গলবার দুপুরে মুম্বইয়ের লীলাবতী হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর তিনি স্ত্রী, পুত্রদের নিয়ে ফিরলেন পুরনো বাড়িতে, বান্দ্রার 'ফরচুন হাইটস'এ।
এই আবাসনে ২৪ ঘণ্টা নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন রাখা হয়েছে। এখানকার পরিবেশে অভিনেতার সুস্থতা হওয়া দ্রুত হবে বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা। তাঁদের পরামর্শ, আগামী ২ মাস অভিনেতাকে বিশ্রামে থাকতে হবে। শুটিং, জিম একেবারে বাদ।
গত বুধবার গভীর রাতে নিজের বাড়িতে দুষ্কৃতীর ছুরির আঘাতে যেভাবে হামলার মুখে পড়েছিলেন শর্মিলাপুত্র, তাতে তাঁর বড়সড় শারীরিক সমস্যা হতে পারত। অল্পের জন্য তা থেকে বেঁচেছেন। মেরুদণ্ডের নিচে ছুরির একাংশ গেঁথে গিয়েছিল। আঘাত লেগেছিল হাতে ও শরীরের অন্যান্য জায়গায়। পরেরদিনই লীলাবতী হাসপাতালে জটিল অস্ত্রোপচার হয় তাঁর। আঘাতের মোকাবিলা করে দ্রুত শারীরিক অবস্থার উন্নতিও হয় 'ছোট নবাব'-এর। চিকিৎসকরা তা দেখে আগেই জানিয়েছিলেন, মঙ্গলবার তিনি হাসপাতাল থেকে ফিরতে পারেন।
সেইমতো এদিন দুপুরে সইফকে আনতে হাসপাতালে যান মা শর্মিলা, স্ত্রী করিনা। চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী একগুচ্ছ বিধিনিষেধ মেনে হাসপাতাল থেকে বেরন সইফ। এত আঘাত সামলে দৃঢ়, ঋজু হাঁটা তাঁর! পরনে সাদা শার্ট, আকাশি ডেনিম। কবজি, ঘাড়ে ব্যান্ডেজ। সেখান থেকে সরাসরি তাঁরা চলে যান বান্দ্রার 'ফরচুন হাইটসে'। এই বাড়িটি আগের 'সদগুরু শরণ' আবাসন থেকে কিছুটা দূরে। আপাতত সেখানেই থাকবেন সপরিবার সইফ। নিরাপত্তার স্বার্থে সেখানকার আনাচকানাচে সিসিটিভি লাগানো হয়েছে। সর্বক্ষণের জন্য মোতায়েন নিরাপত্তারক্ষী। স্ত্রী করিনা, পুত্র তৈমুর ও জেহ থাকবেন তাঁর সঙ্গে। চিকিৎসকদের পরামর্শ, আগামী ২ মাস সম্পূর্ণ বিশ্রামে থাকতে হবে তাঁকে। জিম, শুটিং একেবারে বন্ধ। আপাতত এক সপ্তাহ বাইরের কেউ তাঁকে দেখতে পারবেন না। তাতে সংক্রমণের ঝুঁকি থাকবে।