সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নারীর শরীর লালসার শিকার। আবার সেই শরীরেই মানবজন্ম। গোটা রাজ্য যখন আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ (RG Kar Medical College) ও হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ নিয়ে তোলপাড়। তখন নারীর রক্তমাংসের শরীর নিয়ে কলম ধরলেন শ্রীজাত বন্দ্যোপাধ্যায় (Srijato Bandyopadhyay)। তাঁর লেখা প্রত্যেক শব্দে যেন সমাজের কঙ্কালসার চেহারা।
নিজের ফেসবুক ওয়ালে শ্রীজাত লিখেছেন, "যোনি মানে তো চিরে রাখা রাস্তাই একটা, একটা সরু গলিপথ। কিন্তু সেটুকুতে মন উঠল না তোমার। তুমি সেই রাস্তায় কাটারি চালিয়ে আরও বড় রাস্তা বানালে। চেরাকে সোজা ফালা করে দিলে। আরও বড় জায়গা তৈরি হল। তুমি রক্ত, মাংস, কাদার মধ্যে দিয়ে হাত চালিয়ে ভেতর থেকে বার করে আনলে নাড়িভুঁড়ি। বাইরে পাহাড় তৈরি হল ছোটখাটো। আর ভেতরে জায়গা। অনেকখানি। এইবার তুমি যোনির মধ্যে রড ঢোকালে। তারপর স্টোন চিপস। তারপর ট্রাক। তারপর হোটেল। তারপর পেট্রল পাম্প। তারপর শপিং মল। তারপর জাহাজ বোঝাই বন্দর। তারপর বিমানপোত। তারপর মহাসমুদ্র।"
[আরও পড়ুন: গল্পের একঘেয়েমিতে বেহাল সঞ্জয়-রবিনা জুটি, পার্থ-কুশালিও ম্লান, পড়ুন ‘ঘুড়চড়ি’র রিভিউ]
এর পর লেখকের সংযোজন, "তার পর হাতের মুঠোয় চেপে ধরে ঠেসেঠুসে গোটা পৃথিবীটা তুমি গুঁজে দিলে সেখানে। কিন্তু, কী আশ্চর্য, তোমার কৌতূহলী মন তাতেও শান্ত হল না। শেষমেশ ব্যাপারটা কী, বুঝে নিতে তুমি নিজেই ঢুকলে ভেতরে। মাথা, বুক, কোমর, হাঁটু, পা। এইভাবে পুরোটা ঢুকে গেলে। ন’মাস পর তদন্ত সেরে যখন বেরিয়ে এলে, ডাক্তারের হাত, টেনে বার করল তোমাকে।"
এর আগের পোস্টেই আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন শ্রীজান। বিষয়টিকে 'অভাবনীয় অপরাধ' হিসেবে ব্যাখ্যা করে তিনি কঠোর শাস্তির দাবি জানান। এদিকে এই ঘটনার বিরুদ্ধে 'নাগরিক সমাজের ধিক্কার পদযাত্রা'র আহ্বান জানিয়েছে শিল্পী সাংস্কৃতিক কর্মী বুদ্ধিজীবী মঞ্চ। আগামিকাল অর্থাৎ ১৩ আগস্ট শ্যামবাজার নেতাজি মূর্তির সামনে থেকে এই পদযাত্রা শুরু হবে বিকেল চারটে নাগাদ। যাত্রা শেষ হবে আর জি করের এমার্জেন্সি গেটে। পদযাত্রায় অংশগ্রহণ করার কথা জানিয়েছেন অপর্ণা সেন, মীরাতুন নাহার, সুজাত ভদ্র, সোহিনী সেনগুপ্ত, পল্লব কীর্তনীয়া, উদয় নারায়ণ সরকার-সহ অন্যান্য বিশিষ্টজনেরা।